রাষ্ট্রবিজ্ঞান

ভূ-রাজনীতির বিষয়বস্তু

ভূরাজনীতি হচ্ছে ভৌগোলিক উপাদানের ও রাজনৈতিক কৌশলগত উপাদানের মধ্যকার সম্পর্ক অধ্যয়ন। ক্ষমতা ও ক্ষমতার চর্চার সাথে ভৌগোলিক স্থান বা অবস্থানের মধ্যকার সম্পর্কসমূহের গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানকাণ্ড। ভৌগোলিক সীমানা, ভৌগোলিক গঠন, প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর সাথে কর্তৃত্ব ও জাতিরাষ্ট্রের ক্ষমতা চর্চর সম্পর্কের আলোচনাই হচ্ছে ভূ রাজনীতি। ভূ-রাজনীতির বিষয়বস্তু বা পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। নিম্নে ভূ-রাজনীতির বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোকপাত …

ভূ-রাজনীতির বিষয়বস্তু Read More »

ভূ-রাজনীতির উপাদানসমূহ

ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে সকল রাষ্ট্র সমান মর্যাদা বা সুযোগ লাভ করতে পারে না। ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে একেক রাষ্ট্রের ক্ষমতা, প্রভাব, সুযোগ-সুবিধা, মর্যাদা ইত্যাদি ভিন্নরকম হয়ে থাকে। একটি রাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে কতগুলো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এইসব বিষয় ভূরাজনৈতিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধরণভাবে রাজনৈতিক ক্রিয়া, রাজনৈতিক শক্তি এবং ভৌগোলিক বিন্যাসের …

ভূ-রাজনীতির উপাদানসমূহ Read More »

ভূরাজনীতির সংজ্ঞা

বর্তমান বিশ্বে কোন রাষ্ট্রই অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বজায় না রেখে চলতে পারে না। এক্ষেত্রে কোন দেশ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য অন্য দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির মধ্য দিয়ে। পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ভূরাজনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। এক্ষেত্রে যেকোন দেশের ভৌগোলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ভৌগোলিক …

ভূরাজনীতির সংজ্ঞা Read More »

দুই পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য

দুই পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য | ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টের মধ্যরাতে উপমহাদেশে ব্রিটিশ রাজত্বের অবসান ঘটে রক্তপাত, পারস্পরিক ঘৃণা ও ধর্মীয় ছলনাময়ী তথাকথিত ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব’-এর ভিত্তিতে; সৃষ্টি হয় ‘পাকিস্তান’ ও ‘ভারত’ নামের দুটো রাষ্ট্র। ভারতবর্ষের বিভাজনের কোলাহলের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া, অযোগ্য রাজনীতিবিদ ও অপরিণামদর্শী সমরনায়কদের নেতৃত্বে খুঁড়িয়ে চলা, জিন্নাহের সৃষ্টি, অস্বাভাবিক ও মৃতপ্রায় রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান …

দুই পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য Read More »

পূর্ব পাকিস্তানের সমাজ জীবনে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রভাব

পূর্ব পাকিস্তানের সমাজ জীবনে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রভাব | ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার নিয়ন্ত্রণক্ষমতা চলে যায় ইংরেজদের হাতে। ইংরেজরা এদেশের শাসনভার গ্রহণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইংরেজরা এদেশ ছেড়ে চলে যায়। দীর্ঘ ২০০ বছরের ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালে। এ সময় বাংলা ইংরেজ শাসনমুক্ত হয়। বাংলা ইংরেজ শাসনমুক্ত হলেও পাকিস্তানিরা …

পূর্ব পাকিস্তানের সমাজ জীবনে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রভাব Read More »

পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা সংক্রান্ত সমস্যা

পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা সংক্রান্ত সমস্যা || ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয়। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পর ভারত একটি শাসনতন্ত্র রচনা করতে পারলোও পাকিস্তান তা করতে পারেনি। ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনানুসারে পাকিস্তানের জন্য একটি সংবিধান তৈরির উদ্দেশ্যে উক্ত সালেই প্রথম গণ-পরিষদ গঠন করা হয়। এটাই পাকিস্তানের প্রথম গণ-পরিষদ নামে খ্যাত। …

পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা সংক্রান্ত সমস্যা Read More »

পাকিস্তান সৃষ্টির অর্থনৈতিক পটভূমি

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির অর্থনৈতিক পটভূমি সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো : ০১। চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য : ব্রিটিশরা ‘ভাগ কর শাসন কর’ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। এজন্য তারা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান দু’টি সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্বদা বিভেদ লাগিয়ে রাখার চেষ্টা করতো। তাছাড়া ব্রিটিশ শাসনের প্রাথমিক দিক থেকে ইংরেজরা হিন্দুদের প্রতি একটু বেশি সহানুভূতিপ্রবণ ছিল। এজন্য তারা …

পাকিস্তান সৃষ্টির অর্থনৈতিক পটভূমি Read More »

পাকিস্তান সৃষ্টির সামাজিক পটভূমি

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির সামাজিক পটভূমি || ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে ভারত ও পাকিস্তান নামে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বস্তুত ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাংলার শেষ ও স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ বেনিয়া শাসকগোষ্ঠী এ উপমহাদেশে যে ঔপনিবেশের ভিত গড়েছিল তা প্রায় …

পাকিস্তান সৃষ্টির সামাজিক পটভূমি Read More »

পাকিস্তান সৃষ্টির প্রধান কারণসমূহ

পাকিস্তান সৃষ্টির প্রধান কারণসমূহ | ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে এদেশে ব্রিটিশ শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ প্রতিরোধ করে ইংরেজরা তাদের শাসন কর্তৃত্ব পাকাপোক্ত করে। ১৮৫৭ সালে এ বিদ্রোহের দায়-দায়িত্ব ইংরেজরা মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। ফলে হিন্দু-মুসলিম দুই জাতির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আর এই বিরোধের সূত্র ধরেই …

পাকিস্তান সৃষ্টির প্রধান কারণসমূহ Read More »

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে যুক্তি

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে যুক্তি | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি যখন ভারতবর্ষ থেকে তাদের ঔপনিবেশিক শক্তি গুটিয়ে নিচ্ছিলেন তখন এ অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী স্বাধীনতার বিষয়টি নানা পক্ষ থেকে নানাভাবে উপস্থাপিত হতে থাকে। এমনি এক রাজনৈতিক পটভূমিতে সোহ্রাওয়ার্দী ও আবুল হাশিম ‘স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসেন। ১৯৪৭ …

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে যুক্তি Read More »

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস | উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের শেষ পর্যায়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বিশ্ব বাস্তবতায় যখন সারা বিশ্ব থেকে ব্রিটিশরা পাততাড়ি গুটিয়ে নিজ মাতৃভূমির দিকে গমন করার চিন্তা ভাবনা করতে থাকে ঠিক সেই মুহূর্তে ১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়। ভারতের পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ ব্রিটিশ …

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস Read More »

লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ

লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ | ১৯২৮ সালে প্রকাশিত নেহেরু রিপোর্ট, ১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের পর কংগ্রেস শাসিত প্রদেশসমূহে মুসলিম মন্ত্রী অন্তর্ভুক্তির নিয়ে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মতানৈক্য, কংগ্রেস শাসিত প্রদেশগুলোতে দলীয়করণ ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রদর্শন ভারতীয় মুসলমানদের হতাশ করে। এর ফলে মুসলমান নেতাগণ নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব রক্ষায় সচেষ্ট হন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর …

লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ Read More »

লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব

লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব | ১৯৩৭ সালের প্রথম দিকে ভারতে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ভারতীয় কংগ্রেস দল ছয়টি প্রদেশে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। মুসলিম লীগ কংগ্রেসের সাথে যুক্তভাবে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব করলে কংগ্রেস তা অস্বীকার করে। মুসলিম লীগ বাংলা ও পাঞ্জাবে সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠন করে। কিন্তু কংগ্রেস ১৯৩৭ সালের জুন মাসে ৬টি প্রদেশে …

লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব Read More »

লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্যসমূহ

লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্যসমূহ | আমরা জানি, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এক নতুন প্রেরণার সৃষ্টি করে। স্বতন্ত্র আবাসভূমির আশায় তারা আশান্বিত হয়ে ওঠে। ফলে, মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের রাজনীতি পৃথক পৃথক রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনে পরিণত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় মুসলমানদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবীকে অস্বীকার করে। যা পরবর্তীকালে বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক …

লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্যসমূহ Read More »

লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য

লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য | লাহোর প্রস্তাবের ব্যাখ্যা নিয়ে এক সময় বিভিন্ন জনের ভিন্ন ভিন্ন মত থাকলেও, আজ এটা স্বীকৃত যে, স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ দ্বারা উল্লিখিত দুটি অঞ্চলে বস্তুত দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। সবারই জানা যে, এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এ.কে ফজলুল হক। তিনি কখনো জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন …

লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য Read More »

ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের সংশোধন

ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের সংশোধন | লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হবার পূর্বে ভারতবর্ষে মুসলমানদের জন্য পৃথক একটি আবাসভূমির কথা কল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবে সর্বপ্রথম ভারতে ‘একাধিক স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের দাবি উত্থাপন করা হয়। সর্বপ্রথম এই প্রস্তাবে ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চলে একটি রাষ্ট্র গঠনের দাবি উত্থাপন করা হয়। ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত জিন্নাহ লাহোর প্রস্তাব …

ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের সংশোধন Read More »

লাহোর প্রস্তাবের মূল আলোচ্য বিষয়

১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের মূল আলোচ্য বিষয় | লাহোরে মুসলিম লীগের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর সভাপতির বক্তৃতায় মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাসভূমির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন। এরপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক একটি প্রস্তাব পেশ করেন। এ কে ফজলুল হক উপস্থাপিত এ প্রস্তাবটি …

লাহোর প্রস্তাবের মূল আলোচ্য বিষয় Read More »

১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের পটভূমি

১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের পটভূমি | ভারতীয় উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসনামলে বিংশ শতকের শুরুতে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় দুটি পৃথক প্লাটফরমে ভাগ হয়ে যায়। ১৯৩৪ সালে মুসলিম লীগ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে সভাপতি করলো, কেবল সভাপতি নয়, সারা জীবনের জন্য স্থায়ী হলেন তিনি ওই পদে। গান্ধীর সঙ্গে এখানেও তার পার্থক্য, …

১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের পটভূমি Read More »

You're currently offline !!

error: Content is protected !!