বিসিএস লিখিত

বিসিএস লিখিত অভিজ্ঞতা

বিসিএস লিখিত | বিসিএস যুদ্ধের সবচেয়ে সহজ ধাপ বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, যেখানে ৫০% নম্বর পেলেই ভাইবাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন (যদিও এই দরিদ্র নম্বর দিয়ে কোন ক্যাডার পাবেন না)। মনে অজানা শঙ্কা নিয়ে যেসকল পরিক্ষার্থী প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন, আপনাদের সাথে আমার বিসিএস রিটেন এর অনুভূতি শেয়ার করছি, আপনি আমার অভিজ্ঞতা থেকে হয়তো অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন, আর পুরান পাপীরা হয়তো আমার মাঝে নিজেকে খুঁজে পাবেন।


৩৫ তম বিসিএস লিখিত অভিজ্ঞতা:

বিসিএস লিখিত | প্রথম বিসিএস হিসেবে ৩৫ তম বিসিএস এর প্রিলি উত্তীর্ণ হওয়ার পর রিটেন এর সিলেবাস আর এত্ত এত্ত পড়া দেখে কোন কূলকিনারা খুঁজে পেতাম না। এক্সিসটিং বিসিএস ক্যাডার এবং লিখিত পরীক্ষার অভিজ্ঞদের প্রতিদিন ফোন করে হতাশার কথা বলতাম। উনারা সবসময় বলতো, “একদিক থেকে পড়া শুরু করো, দেখবে এক্সামের আগেই মোটামোটি একটা ফিনিশিং হয়ে গেছে।“ ঘটনা অনেকটা সেরকমই ঘটলো। এক্সামের আগে মোটামোটি সব টপিক কমপ্লিট করে ফেললাম। তবে, এর জন্য জীবনের সেরা পড়াটাই পড়তে হয়েছিল আমাকে। সম্ভবত, আমার সারাজীবন এর অর্ধেক পড়াই পড়েছিলাম ৩৫ রিটেনের আগে। সপ্তাহ জুড়ে টানা এক্সাম দিলাম। রিটেন পরীক্ষার প্রিপারেশনের চেয়েও কঠিন হলো, টানা সকাল বিকাল রিটেন এক্সামের মধ্যে সুস্থভাবে বেচে থাকাটা। মাইগ্রেন নিয়ে অনেক কষ্ট হলেও সেটা ভালভাবেই পেরেছিলাম। কোচিং এ টুকটাক কয়েকটা মডেল টেস্ট দিয়েছিলাম, ভালো প্রিপারেশন নিয়েছিলাম, প্রতি এক্সামে টাইম ম্যানেজমেন্টও করেছিলাম। কিন্তু নতুন ধাচের প্রশ্ন (যেটা ৩৫ থেকে শুরু হয়েছিল) আর অনভিজ্ঞ আমি এক্সামের খাতাটাতে উত্তরগুলো সুন্দরভাবে কমপ্লিট করা আর টাইম ম্যানেজমেন্ট টা যেন মিলাতে পারছিলাম না। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিষয়াবলী এবং রচনা দুইটাতে প্রচন্ড হাত ব্যাথা হচ্ছিল, কিন্তু লিখা কমপ্লিট হচ্ছিলো না। তবে মোটামোটি সুন্দর হ্যান্ড-রাইটিং নিয়ে এক্সাম দিয়ে প্রেজেন্টেশন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম।

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য


৩৬ তম বিসিএস লিখিত অভিজ্ঞতা:

বিসিএস লিখিত | ৩৫ বিসিএস এ প্রত্যাশিত ক্যাডার পেয়ে যাচ্ছি আশায়, ৩৬ বিসিএস এর জন্য পড়াটা যেন শুরুই হচ্ছিল না। তবুও এক মাস পূর্বে এক্সামের ডেট দিলে একমাসের প্রিপারেশন নিয়েই ৩৬ বিসিএস এটেন্ড করি। ৩৬ রিটেন এ আগের সব কিছু পড়া থাকার কারণে ডেটা, চার্ট, গ্রাফ, কোটসহ নাইস প্রেজেন্টেশন এবং প্রতিটা টপিক যেন টাইমলি ম্যানেজড করা যায়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেছিলাম; এবং সফল হয়েছিলাম। বিলিভ মি, ৩৫ রিটেন ৫ মাস পড়ে যা দিয়েছিলাম, ৩৬ রিটেন ১ মাস পড়ে তার চেয়ে তিনগুন ভালো এক্সাম দিয়েছি (একদম মনের মতো বলতে পারেন)। তখন বুঝেছিলাম, আমরা প্রথম বিসিএস এ যতই পড়িনা কেন, অভিজ্ঞতা একটা বিশাল বিষয় যা হাজার পড়েও পাওয়া সম্ভব না। তবে প্রথম বিসিএস লিখিত দিয়েই পছন্দের ক্যাডারের মেধাক্রমে অবস্থানকারীদের সংখ্যাও কম নয়। তাই এক্সপেরিয়েন্সড সিনিয়ররা আছে বলে, আপনি পিছিয়ে আছেন। ভাববেন না কখনো (যারা প্রথমবার অংশগ্রহণ করছেন)।

আরো পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি শক্তির অবদান


৩৭ তম বিসিএস লিখিত অভিজ্ঞতা:

বিসিএস লিখিত | অভিজ্ঞতার ভান্ডারে ৩৫ এবং ৩৬ লিখিত থাকলেও ৩৬ এর মতো তেমন ভাল এক্সাম হয়নি। এই এক্সাম দিয়ে বুঝেছি, আপনার পারফরমেন্স খারাপ থেকে ভালো হতে হতে একসময় আবার খারাপ হতে হতে একসময় আপনি মার্কেট আউট হয়ে যাবেন। সো, যা করার ফার্স্ট বা সেকেন্ড বিসিএস এই করে ফেলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে একদিন হয়ে যাবে, এটা ভুল ধারণা (এক্সেপশাল দুই একজন আছেন, যারা ৪/৫ বার এক্সাম দিয়ে শেষবারে সফল হোন।)

আরো পড়ুন: ভার্চুয়াল ভাইরাস ও প্রযুক্তির অপ্যব্যবহার


৩৮ তম বিসিএস লিখিত অভিজ্ঞতা:

BCS Written | ৩৭ বিসিএস এর প্রিপারেশন দিয়েই বিফোর নাইট প্রিপারেশন না নিয়েও ৩৮ রিটেন এক্সামে এটেন করি, এবং রিটেনে টিকেও যাই। এতেই প্রমাণ হয়, মাথায় তথ্য থাকলে না পড়েও রিটেন টেকা যায়।
তবে শেষ কথা হলো, খুব ভাল রিটেন না দিতে পারলে প্রতিবার ভাইভা দিতেই থাকবেন, কিন্তু স্বপ্ন কে কোনদিন ধরতে পারবেন না (ভাইভাতে এক্সট্রাওর্ডিনারী মার্কস না পেলে)।


লিখেছেন:  রবিউল আলম লুইপা

আরো পড়ুন:


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You're currently offline !!

error: Content is protected !!