গুগল অ্যাডসেন্স

গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার সহয পদ্ধতি

গুগল অ্যাডসেন্স | আমরা যারা প্রযুক্তির সাথে মোটামুটি পরিচিত তারা প্রায় সবাই গুগল এ্যাডসেন্স সম্পর্কে জানি। কিভাবে খুব সহযে Google Adsense এপ্রোভ পেয়ে আপনিও অনলাইন থেকে উপার্জন করতে পারবেন আজকে আমরা সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। এই আর্টিকেলটি একটু দীর্ঘ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। যারা একদম কিছুই বুঝেনা আমি তাদেরকেও বুঝানোর জন্য আর্টিকেলটি একটু দীর্ঘ করে লিখবো, যাতে করে সবাই বুঝতে পারেন। তাই যারা একটু বুঝেন, তারা বোরিং ফিল না করে একটু ধয্য নিয়ে পড়বেন।


কিভাবে পাবেন গুগল অ্যাডসেন্স?

সাধারণভাবে গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার তিনটি জনপ্রিয় পদ্ধতি বিদ্যমান রয়েছে। এগুলো হলো ওয়েবসাইট, ব্লগার ও ইউটিউব চ্যানেল এই তিনটি মাধ্যমের যেকোনোটিকে ব্যবহার করে আমরা অ্যাডসেন্স পেতে পারি। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে আমরা গুগল অ্যাডসেন্স পেতে পারি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এছাড়াও এ্যাডসেন্স পাওয়ার বাকি দুটি মেথড সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুগল অ্যাডসেন্স:

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনার একটি ডোমেইন এবং হোস্টিংসহ একটি সিএমএস এর প্রয়োজন হবে। সিএমএস হিসেবে আমি ওয়ার্ডপ্রেসকে সাজেস্ট করবো। এখানে ক্লিক করে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যদি আপনি WordPress CMS ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করে গুগল এ্যাডসেন্স পেতে চান তাহলে এই সিএমএসের জন্য আপনার একটি থিম ব্যবহার করতে হবে। যেগুলো আপনি ফ্রিতেও পেতে পারেন অথবা থিমফরেস্ট থেকেও প্রিমিয়াম থিম কিনে ব্যবহার করতে পারেন। থিম ফ্রি পেতে গুগল সার্চ করে ওয়ার্ডপ্রেসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখান থেকে Astra থিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই থিমটি কাস্টমাইজ করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আটির্কেল লেখা শুরু করবেন। মনে রাখবেন আটির্কেল কোথাও থেকে চুরি অথবা কপি/পেস্ট করতে পারবেন না। আপনি কোনো একটি ইউনিক নিশ/বিষয় নিয়ে আপনার তৈরিকৃত ব্লগ সাইটে লেখালেখি করবেন। আর যদি আপনার এরকম কোনো নিশ বা বিষয় না থেকে থাকে তবে আপনি যে সাবজেক্টে পড়ালেখা করতেছেন ওই সাবজেক্টের এ্যাসাইনমেন্ট অথবা ওই সাবজেক্টের অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে লেখালেখি করে অন্তত্য ২৫-৩০ টি ইউনিক আটির্কেল লিখুন। এরপরে এই লিংকে গিয়ে আপনার জিমেইল একাউন্ট দিয়ে গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন। গুগলের এক্সপার্টরা আপনার সাইটিকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ১ থেকে ৭ দিনের মধ্যে আপনাকে একটি ফিডব্যাক দিবে। যদি তাদের সব রিকোয়ারমেন্টগুলি আপনি সঠিকভাবে ফুলফিল করতে পারেন, তবে তারা আপনাকে মেইল করে কনগ্রাচুলেশন জানাবে। আর যদি তাদের রিকোয়ারমেন্টগুলি ফুলফিল করতে না পারেন তবে আপনার এ্যাডসেন্স এপ্রোভ না পাওয়ার কারণ কি সেটাসহ আপনার ব্লগসাইটের কোন সমস্যাটার জন্য আপনি গুগল অ্যাডসেন্স পেলেন না সেটা আপনাকে তারা জানিয়ে দিবে। গুগল এ্যাডসেন্স এপ্রোভ না পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আপনাকে গুগল কতৃপক্ষ মেইল করে যে সমস্যাগুলির কথা তারা জানিয়েছে তাদের সেই সমস্যাগুলির সমাধান করে একই জিমেইল একাউন্ট দিয়ে আবার এ্যাডসেন্স এপ্রোভ পাওয়ার জন্য গুগলের কাছে আবেদন করুন। যতবার আপনার গুগল অ্যাডসেন্স তারা এপ্রোভ না দিচ্ছে ততবার আপনি তাদের দেখানো সমস্যাগুলির সমাধান করে একই জিমেইল একাউন্ট দিয়ে অ্যাডসেন্স এপ্রোভ পাওয়ার জন্য আবেদন করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার এ্যাডসেন্স একাউন্টটি তারা এপ্রোভ করে দিবে।


ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে গুগল অ্যাডসেন্স:

ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল অপেন করে সেখানে রেগুলার ভিডিও আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন ট্রেন্ডিং বিষয়গুলি নিয়ে ভিডিও তৈরি করার জন্য। বাংলাদেশে ট্রেনন্ডিং বিষয়গুলি দেখতে মানুষ খুব পছন্দ করে। যেহেতু, ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার জন্য এক বছরে চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম দরকার হয় তাই আপনার একটি ট্রেনন্ডিং ভিডিও ভাইরাল হলেই আশাকরি আপনার চ্যানেলের ওয়াচটাইম অনেক বেড়ে যাবে। এভাবে ভিডিও বানাতে থাকেন এবং আপনার চ্যানেলে আপলোড করতেই থাকেন। একসময় গুগলের সব রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল হয়ে যাবে এবং আপনি ইউটিউব থেকে গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে, ব্লাগারের মাধ্যমে গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার নিয়মটি উপরে দেওয়া “ওয়েবসাইট মাধ্যমে গুগল এ্যাডসেন্স” পাওয়ার নিয়মের সাথে একই। শুধু এখানে ডোমেইন, হোস্টিং এবং থিমের প্রয়োজন হয়না।


গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে কিছু সচেতনতা:

বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার থেকে এটিকে টিকিয়ে রাখাটা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। সাধারণত কিছু ইলিগ্যাল এক্টিভিটির জন্য এমনটি হচ্ছে। একটু সতেচনভাবে চললে এতে কোনো ভয় নেই। আপনার ওয়েবসাইটে কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে গুগলের দেওয়া কোনো অ্যাডসে সেল্ফক্লিক করবেন নাহ অথবা বেশি পেমেন্ট পাওয়ার আশায় ভিপিএন ব্যবহার করে সেল্ফ ক্লিক করবেন নাহ। অন্যকাউকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করবেন না অথবা পেইড ক্লিক সার্ভিসের মতো এরকম কিছু করাবেন না। আপনার ওয়েবসাইটের যদি প্রমোশনের প্রয়েজন হয় তাহলে আপনি ফেসবুকে অথবা গুগলে আপনার সাইটের লিংক প্রমোশন করে এ্যাড দিতে পারেন। এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্নিক করে গুগলের প্রাইভেসি পলিসি দেখে নিতে পারেন। সবশেষে একটি কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, গুগলের সাথে কখনও চালাকি করে গুগলকে ফাকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন নাহ। গুগল কিন্তু একটা অনেক এ্যাডভান্স আধুনিক প্রযুক্তি। তাদের সাথে ফাঁকিবাজি করতে গেলে টুডে অর টুমোরো আপনাকে ধরা খেতেই হবে। সো কেয়ারফুল এ্যাবাউট দ্যাট। নতুন ব্লগারদের জন্য শুভকামনা রইল।


লিখেছেন: Al-Amin Islam

আরো পড়ুন:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You're currently offline !!

error: Content is protected !!