বিসিএস আন্তর্জাতিক | গুরুত্বপূর্ণ টপিকস

বিসিএস আন্তর্জাতিক :

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ কী?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির চ্যান্সেলর কে ছিলেন?
দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তি কত সালে হয়?
ট্রিটি অব পিস বলা হয় কোন চুক্তিকে?
জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা দেশ কোনটি?
হিটলার কত সালে জার্মানির ক্ষমতায় আরোহণ করেন?
গেস্টাপো কী?

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

হিটলার কেন ইহুদী বিদ্বেষী হয়ে উঠলেন?
জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণ করার কারণ কী?
নূরেমবার্গ ট্রায়াল কী?
জেনেভা কনভেনশন কত সালে হয়?
জেনেভা কনভেনশনের বিষয় বস্তু কী?
আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি কী?
ফ্রান্সের নরমান্ডি শহরে মিত্র বাহিনীর অবতরণকে কী বলে?
মার্শাল প্ল্যান ও মলোটভ প্ল্যান কী?
যুদ্ধু বিদ্ধস্ত পৃথিবীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে মুখোমুখি দুই দেশ
ও দুটি আদর্শ কী?

পুজিবাদ এবং সাম্যবাদ ধারণা দুটি দুভাবে অর্থনৈতিক
উন্নয়নের কথা বললেও পৃথিবী ব্যাপী এক ধরণের যুদ্ধ তৈরি
করেছিল তার নাম কী?
প্রিলি শুধু প্রিলি নয়,রিটেন ও ভাইভার ভিত্তি।
প্রাসঙ্গিক এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে কয়েকটি
বিষয় নিয়ে একটু ভাবলে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আসলে হয়েছিলো ফুচকার দোকান নিয়ে।
বিশ্বাস হচ্ছে নাতো? আচ্ছা দেখা যাক বিষয়টা।
মনে করা যাক ঢাকা কলেজের কয়েকটা ছেলে মিলে ইডেন
কলেজের সামনে একটা ফুচকার দোকান দিল, কেমন চলবে? হুম
খুব।

তাহলে খুব বেচাকেনা হচ্ছে কিন্তু। কিছুদিন পর ইডেন কলেজের
একটা মেয়ের মাথায় চিন্তা খেলল, ‌‌আমাদের কলেজের সামনে
এরা কেন ফুচকা বিক্রি করবে? আমরাও করব। তারাও একটা
দোকান দিতে প্রস্তুত হলো।

এদিকে ঢাকা কলেজের ভাইয়েরা তো দোকান দিতেই দেবে
না মেয়েদের। শুরু হলো দ্বন্দ্ব। ঢাকা কলেজ কিছু বন্ধু ডেকে
নিয়ে আসলো তিতুমীর কলেজ থেকে। ইডেন কিছু বান্ধবী ডেকে
নিয়ে আসলো বদরুন্নেসা থেকে। এম মধ্যে হাতাহাতিতে ঢাকা
কলেজের এক ছাত্র ফান্ডিল্যান্ড মারা পরে গেলো। শুরু হলো
যুদ্ধ। দেখুন,

১৭৬০ সাল থেকে ইউরোপে বিশেষ করে ইংল্যান্ডে শিল্প
বিপ্লব শুরু হয়। শিল্প বিপ্লব মানে বিভিন্ন উৎপাদনমূখী
যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও তা দিয়ে প্রচুর পণ্য দ্রব্য উৎপাদন। যেহেতু
ইংল্যান্ড বেশ আগে থেকেই ভারত উপমহাদেশ ও এশিয়ার
বিভিন্ন স্থানে অনেক কলোনি প্রতিষ্ঠা করেছিল তাই তাদের
উৎপাদিত পণ্যের বাজার ছিল অনেক। বেচা বিক্রিতে কোন
সমস্যা হতো না।কাঁচা মালও ওইসব জায়গা থেকেই আসতো।

১৮৫০ সালের পর জার্মানিতেও শিল্প বিপ্লবের ছোঁয়া লাগে।
তারাও নানা পণ্য উৎপাদন করে এবং বিশ্ব বাজারে বিক্রি
করতে চায়।কিন্ত ইংল্যান্ড আর রাশিয়া তাকে সে সুযোগ
দিতে চায় না। এদিকে ১৮৭১ সালে খন্ড বিখন্ড জার্মানি
একত্রিতহয়ে যায় বিসমার্কের নেতৃত্বে। ক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়া
বাজার ধরা যাবে না এটা তারা বুঝে ফেলে। তাই নৌ ক্ষমতা
বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে তারা।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | এদিকে তখন অটোমান সমাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি
আর সার্বিয়া-হার্জেগোভিনার মধ্যে কিছু কিছু এলাকা নিয়ে
দ্বন্দ্ব চলছিল। ঠিক এই মুহূর্তে ২৮ জুন ১৯১৪ অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ও
তার স্ত্রী সোফিয়া সার্বিয়াত গিয়ে ব্ল্যাক হ্যান্ড নামের
গোপন বাহিনীর হাতে খুন হয়। ব্ল্যাক হ্যান্ড ছিল সার্বিয়ার
গোপন বাহিনী। ব্যস, যুদ্ধ শুরু। তাহলে জার্মানি/প্রাশিয়া কোথা থেকে আসলো? অস্ট্রিয়া-
হাঙ্গেরির সাথে জার্মানির সামরিক চুক্তি ছিল আগে
থেকেই।

জার্মান চ্যান্সেলর বেথম্যান এই সুযোগে ফ্রান্স আর
ইংল্যান্ডকে এক হাত দেখে নিতে চেয়েছিলেন।
আর রাশিয়া-ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডও সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ।
তারা আলাদা হয়ে গেলো মিত্র এবং অক্ষ শক্তিতে। অটোমান
সম্রাজ্যের পতনের সময় সবাই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান ও বাজার
দখল করতে চেয়েছিল।

যুদ্ধ শেষ হলো,জার্মানি হলো পরাজিত। তাকে আর তার
বাহিনীকে ২৮ জুন ১৯১৯ সালে ২য় ভার্সাই চুক্তিতে বেধে
ফেলা হলো। এই চুক্তির নাম ‌ট্রিটি অব পিস। শান্তির চুক্তি।
পলিটিকাল সায়েন্সে শান্তি বলতে বোঝায়- যুদ্ধের
অনুপস্থিতি। চুক্তিতে বলা হলো, জার্মানি তার অস্ত্র বাড়াতে
পারবে না। বলা হলো সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো যাবে না। আর
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বা গ্রেট ওয়ারে মদদ দেয়ার কারণে প্রতি বছর
একটি নির্দিষ্ট পরিমান জরিমানা মিত্র বাহিনীর হাতে তুলে
দিতে।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | উড্রো উইলসন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এসে বললেন,এভাবে হয়
না। যুদ্ধ আর কতো দিন? এই নৈরাজ্য আর কতো দিন? এসো একটি
আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি করি,নিজেদের করি শৃঙ্খলাবদ্ধ।
সবাই বলল,বাহ বেশবেশ। তৈরি হলো জাতিপুঞ্জ,লেখা হলো এর
নিয়ম কানুন। কেউ এখন থেকে কাউকে এই সংগঠনের অনুমতি
ছাড়া আক্রমণ করতে পারবে না। যতো রাগই হোক কাউকে
মারবে না। আর, এর সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকবে। এইসব আইন
জাতিপুঞ্জের সদস্য দেশেরা মেনে চলবে। এবার উড্রো উইলসন
সাহেব বললেন,হাঁ আমেরিকা কিন্তু এর সদস্য নয়। নিয়ম
তোমাদের জন্য। আমেরিকা যা খুশি তাই করতে পারবে।
আমরাতো আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ করিনি। ভদ্রদের এসব লাগে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ :

১৯৩৩ সালে জার্মানির ক্ষমতায় হিটলার আসলেন। তিনি এসে
দেখলেন ভার্সাই চুক্তি আর জাতিপুঞ্জ মিলে জার্মানিকে
প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে। আমেরিকার প্রভাবে জার্মানির
ক্ষমতায় বেশিরভাগ জায়গায় ইহুদীরা বসে আছে। তিনি
ভালোমন্দ না বুঝেই ইহুদীদের সরানো শুরু করলেন। জাতি সংঘ
থেকে সদস্য পদ প্রত্যাহার করে নিলেন। ভার্সাই চুক্তি
অনুযায়ী কাজ না করে লক্ষ লক্ষ অস্ত্র,বিমান, ট্যাংক তৈরী
শুরু করলেন।

একদিন(সেপ্টেম্বর 1939) সব শৃঙ্খল ভেঙ্গে নিজের
আধিপত্য বিস্তারের জন্য পোল্যান্ডকে দিয়েই পাওয়ার গেম
শুরু করলেন। শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। নিজ দেশে সব জায়গায়
সেনাবাহিনী বসিয়ে ইহুদীদের খুন করতে শুরু করলেন। গেস্টাপো
নামে পুলিম বাহিনী তৈরী করলেন শুধু ইহুদীদের খবর সংগ্রহ
করার জন্য। এ সময় এক ১৪ বছরের ইহুদী কিশোরী আনা ফ্রাঙ্ক
গেস্টাপো বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী তার ডায়েরিতে
লিখতে শুরু করে। কিভাবে লুকিয়ে তারা জীবন যাপন করেছে
হিটলারের হাত থেকে বাঁচতে।

কিভাবে কেটেছে ইহুদী পরিবারটির জীবন এতো কষ্টের মধ্যে দিয়ে। সেই ডায়রিটি
আজ ইতিহাসের উৎস। আর হিটলার বিশাল গ্যাস চেম্বারে
আটকে লক্ষাধিক ইহুদী মেরে হলোকাস্ট নামের ঘটনা জন্ম
দিলেন। এদিকে আমেরিকা দূরে বসে ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের
কাছে অস্ত্র বিক্রি করছিল। যুদ্ধ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছিল।
জার্মানির বন্ধু জাপানের বহুদিনের ইচ্ছে যে প্রশান্ত
মহাসাগরীয় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু
আমেরিকার জন্য তা হয়ে ওঠে না।

৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ প্রায় ৩০০টি জাপানি বিমান আমেরিকার সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর
পার্ল হারবার আক্রমন করে। আমেরিকাও নেমে পরে যুদ্ধে।
জার্মানি এই যুদ্ধে ফ্রান্সের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল।
কিন্তু বৃটিশ আর আমেরিকান সেনারা ফ্রান্সকে বাঁচাতে
ফ্রান্সের নরমান্ডি শহরে ৬ জুন লক্ষাধিক সেনা বিমানে করে
এবং জাহাজে করে নামিয়ে দেয়। একে বলে ডি ডে বা ডওন
ডে। সোভিয়েত ইউনিয়ন(১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত) জার্মানিকে
প্রতিরোধ করার সব ব্যবস্থা করে।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | যুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্ব শান্তি নিয়ে যে কেউ ভাবছে না তা কিন্তু নয়। আমেরিকার
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট বড় বড় দেশ গুলোর সাথে
আলাপ করছেন একটি স্থায়ী ও ক্ষমতাশালী আন্তর্জাতিক
সংগঠন তৈরীর জন্য। তিনি ইতিমধ্যে লন্ডর ঘোষনার আয়োজন
করেছেন,হয়েছে আটলান্টিক সনদ,মস্কো ঘোষনা,তেহরান
কনফারেন্স। জাতিসংঘ তৈরীর কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে।
যুদ্ধ যখন প্রায় শেষ তখন আমেরিকা আইনিস্টাইনের ফিশন ও
চেইন রিএকশন তত্বের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানী ওপেন
হাইমার এর নেতৃত্বে প্রজেক্ট ম্যানহাটনের আওতায় লস এলামস
নামের ল্যাবরেটরিতে পারমানবিক বোমা বানিয়ে ফেলেছে।

কয়েকটি পরীক্ষা করার পর সফল হয়ে এবার যুদ্ধে ব্যবহারের
অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বদল হয়ে গেছে। রুজভের্ট
থাকলে হয়তো পারমানবিক বোমা ব্যবহার হতোনা। এবার
ক্ষমতায় ট্রুম্যান। তার আদেশে ৬ আগস্ট এবং ৯ আগস্ট ১৯৪৫
জাপানে হিরোসিমা এবং নাগাসাকিতে লিটল বয় এবং ফ্যাট
ম্যান নামের পারমানবিক বোমা ফেলা হয়। 14 আগস্ট ১৯৪৫
জাপান আত্ম সমার্পন করে। জার্মানি আরো কিছু দিন যুদ্ধ
চালিয়ে গেলেও হিটলার বাহিনী আর যুদ্ধ চালাতে সক্ষম ছিল
না।

৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ হিটলার আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করা
হয়। আর অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয় নুরেমবার্গে।
কিন্তু যুদ্ধ বন্দিরাওতো মানুষ! নেতাদের আদেশে তারা মানুষ
মারে, না মারলে নেতারাই তাদের হত্যা করে। তাই যুদ্ধ
বন্দিদের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। যুদ্ধ বন্দিদের
মানবাধিকার নিশ্চিত হয়নি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন
সময়ে। তাই আগামীতে যেন যুদ্ধবন্দিদের মানবাধিকার রক্ষা
হয় এ লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালে পৃথিবীর ৫০ টি দেশের প্রতিনিধিরা
জেনেভাতে আলোচনায় বসেন । একে বলে জেনেভা কনভেনশন।
.
যুদ্ধ শেষে বিশ্বের দেশগুলা অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
তাদের নতুন করে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
আমেরিকার নেতৃত্বে গড়ে উঠল বিশ্ব ব্যাংক(IBRD,IDA
,MIGA,IFC,ICSID). আমেরিকা পৃথিবী গড়ার এই মহৎ পরিকল্পনা
করল,তার নাম মার্শাল প্ল্যান। তাদের অস্ত্র হলো পুজিঁবাদ।
সবাইকে বলল, সব উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে
দাও। মুক্ত বাজার অনুসরণ করো,গণতন্ত্রের পথে চলো। কিন্তু
সোভিয়েত ইউনিয়নের এই কথাগুলো পছন্দ হলো না। তারা
বলল,শুধু তুমি কেন বিশ্ব অর্থণীতি গড়ে দেবে? আমি বেঁচে
আছি এখনো।

স্ট্যালিন সাহেব এগিয়ে আসলেন সাম্যবাদের
ধারণা নিয়ে। তাদেরও ব্যাংক আছে। তার নাম কমেকন।
জার্মানি সহ পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে তারা
একটা পরিকল্পনা করল তার নাম মলোটভ প্ল্যান। এভাবে বিশ্বে
পুজিবাদ আর সাম্যবাদ/সমাজতন্ত্র(কমিউনিজম) পৃথিবীর দেশে
দেশে জনপ্রিয় হতে শুরু করল। পৃথিবী হয়ে গেলো দুই
মেরুভিত্তিক। তাইতো কোরিয়া যুদ্ধে ১৯৫০ সালে উত্তর
কোরিয়াকে সমর্থন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন, আর দক্ষিন
কোরিয়াকে সমর্থনন করে আমেরিকা।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | ১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে আর আমেরিকা পাকিস্থানের
পক্ষে। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত চলা এই উত্তেজনাকে বলে স্নায়ু যুদ্ধ।
এখনো তা থামেনি , চলছে নতুন রূপে।
অনেক বড় পোস্ট। ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

লিখেছেন: সুমন , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পিং পং কূটনীতি :

১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন
চিয়াং কাইশেক। তখন চীনে পুঁজিবাদতন্ত্র চালু ছিল এএবং
ক্ষমতায় ছিলেন চীনা কুয়োমিনটাং রাজনৈতিক দল।এসময়
চীনে পুঁজিবাদতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল।
যুদ্ধে চিয়াং কাইশেক পরাজিত হয় এবং মাও সে তুং(Mao-Tse-
Tung) এর নেতৃত্বে ১ অক্টোবর,১৯৪৯ সালে চীনে সমাজতন্ত্র
প্রতিষ্ঠিত হয়।চিয়াং কাইশেক তখন চীন থেক পালিয়ে
ফরমোজা নামক জায়গায় চলে যান এবং পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের
সহায়তায় (বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের )ফরমোজার
অধিবাসীদের সংঘটিত করে এবং সেখানকার অধিবাসীরা
তাকে প্রেসিডেন্ট বানান তখন চিয়াং কাইশেক ফরমোজার
নাম পরিবর্তন করে রাখেন তাইওয়ান।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | ১৯৫০ সালে পাশ্চাত্য বিশ্ব ঘোষণা করে চীন তাইওয়ানের অংশ তাই এখন থেকে
জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করবেন তাইওয়ান সরকার প্রধান। আর
তখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়
চীনের। এ অবস্থা চলতে থাকে ১৯৫০ সসাল থেকে ১৯৭১ সাল
পর্যন্ত। ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেবিল টেনিস দল
খেলতে আসে জাপানে এবং ১৯৭১ সালে চীনে টেবিল টেনিস
টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। চীন তখন আমেরিকার ঐ টেবিল টেনিস
দলকে চীনে টেবিল টেনিস টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য
আমন্ত্রণ জানান এবং আমেরিকার ঐ টেবিল টেনিস দলটি
খেলতে আসে চীনে।দীর্ঘ বিরতির পর আমেরিকার সাথে
চীনের সম্পর্ক আবার শুরু হলো টেবিল টেনিস খেলার মধ্য দিয়ে,
আর টেবিল টেনিস খেলার অপর নাম Ping Pong, এ জন্যই
কূটনৈতিক অঙ্গনে এটি Ping Pong Diplomacy নামে পরিচিত।

গ্লাসনস্ত (Glasnost) ও প্রেসত্রয়িকা (Prestroika) :

গ্লাসনস্ত (Glasnost) :

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল
গর্বাচেভ এই নীতির প্রবর্তক।১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের পর
সোভিয়েত ইউনিয়নে communist একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়
তখন থেকেই communist ব্যবস্থার বা পার্টি ও রাষ্ট্রের
ক্ষমতাসীন নেতাদের কাজের বিরোধিতা বা সমালোচনা
করার কোনো অধিকার থাকে না ।কিন্তু গর্বাচেভ ক্ষমতায়
এসে অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রীয় উভয় ক্ষেত্রেই নাটকীয় ভূমিকা
গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৮৬ সালে ঘোষণা করেন যে, সোভিয়েত
জনগন এখন থেকে নির্ভয়ে খোলা খুলিভাবে তাদের মতামত
প্রকাশ করতে পারবেন,পারবেন পার্টি ও নেতাদের
করুন্মকান্ডেরও সমালোচনা করতে।গর্বাচেভ নিজেই তার এই
নীতিকে Glasnost বলে অভিহিত করেন এবং এই নীতি অনুসরণ
করার জন্য পূর্ব ইউরোপীয় সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের প্রতিও
আহবান জানান।অনেকটা এই Glasnost নীতির জন্যই সোভিয়েত
ইউনিয়ন ভেঙে যায় এবং সমাজতন্ত্রের অবসান ঘটে।
প্রেসত্রয়িকা (Prestroika)


বিসিএস আন্তর্জাতিক | ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর লেনিনের নেতৃত্বে সংঘটিত হয় বিশ্বের
অন্যতম আলোচিত রুশ বিপ্লব, যার স্থায়িত্ব ছিল দশ দিন। রুশ
বিপ্লবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন লেনিনের বলশেভিক দল এ
জন্য রুশ বিপ্লবের আর এক নাম বলশেভিক বিপ্লব।তাছাড়া
তৎকালীন সময়ে ইংরেজী ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি
রাশিয়াতে প্রচলিত ছিল রুশ ক্যালেন্ডার,১৯১৭ সালের ৭
নভেম্বর রুশ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছিল ২৫ অক্টোবর এ জন্য রুশ
বিপ্লবের আরেক নাম অক্টোবর বিপ্লব। ১৯২২ সালে রাশিয়ার
নামকরুনণ হয় USSR বা Union of Soviet Socialist Republic বা
সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ
প্রেসিডেন্ট ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ।তিনি যখন ক্ষমতায়
অধিষ্ঠিত হন তখন সোভিয়েত রাশিয়ায় অর্থনৈতিক অবস্থা
খুবইব খারাপ ছিলো।

দারিদ্র্যের হার ছিলো ক্রমবর্ধমান, বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছিলো,মুদ্রাস্ফীতির পরিমান দিন
দিন বাড়ছিলো।তাই মিখাইল গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের
অর্থনীতি পূনর্গঠনের জন্য পশ্চিমা ধাচের অর্থনৈতিক
নীতিমালা গ্রহণ করেন যাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়,বেকারত্ব
হ্রাস পায় এবং মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যায়।মিখাইল
গর্বাচেভ কতৃক ১৯৮৫ সালে ঘোষিত অর্থনৈতিক সংস্কারের এ
নীতিই perestroika নামে পরিচিত । তিনি সমাজতান্ত্রিক ঘরনা
থেকে বেরিয়ে এসে তার গ্লাসনস্ত নীতির সংগে সঙ্গতি
রেখে সোভিয়েত ইউনিয়নের উদারনৈতিক অর্থনীতি প্রবর্তনের
উদ্যোগ গ্রহণ করেন । যার ফলে ১৯৮৭ সাল থেকে সোভিয়েত
ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপীয় কমিউনিস্ট দেশ সমূহে নয়া
অর্থনৈতিক হাওয়া বইতে শুরু করে।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | কিন্তু তৎকালীন কট্টরপন্থী সোভিয়েত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং কেজিবি’র
নেতারা গ্লাসনস্ত এবং পেরেস্ত্রইকা নীতির চরম বিরোধিতা
করে ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনীতি আরও দূর্বল হয়ে
পড়ে।এমতাবস্থায় ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতভূক্ত দেশগুলোতে
সমাজতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় এবং তারা সোভিয়েত
ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হবার আন্দোলনের ডাক দেয়।অবশেষে
২৫ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে গর্বাচেভ পদত্যাগ করেন এবং
সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘোষনা করেন, আর এ ঘোষনার
মাধ্যমে পৃথিবীতে ১৫ টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
আর তখন থেকেই বিশ্বে পুজিবাদ তাদের স্থান পাকাপোক্ত
করে ফেলেন যে পুজিবাদ আজ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে গোটা
বিশ্বকে।

ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হলো
ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন।যেহেতু চার বছর
পর পর মার্কিন Presidential Election হয়,তাই ১৯৭২ সালের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে আবার
দ্বিতীয় মেয়াদে মনোনয়ন লাভ করেন রিচার্ড নিক্সন।প্রতিদ্ব
ন্দ্বীর রনকৌশল জানা থাকলে যুদ্ধে তাকে সহজেই পরাজিত
করা যায়।তাই নিক্সন ডেমোক্রেটদের নির্বাচনী কৌশল চুরি
করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

ওয়াশিংটন ডি সি তে একটি বানিজ্যিক ভবন হলো Water Gate
Complex(WGC). এই ভবনে ছিলো ডেমোক্রেটদের প্রধান
কার্যালয়।নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক
দলেরই কার্যালয় থাকে উৎসবমূখর এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ
কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | ১৭ জুন ১৯৭২ সালে রিচার্ড নিক্সনের পাঁচজন দোসর গোপনে
ডেমোক্রেট দলের অফিসে বেশ কিছু Electric Device রেখে আসে
যা দ্বারা কথাবার্তা রেকর্ড করা যায়।আর এভাবেই
ডেমোক্রেটদের নির্বাচনী কলাকৌশল জেনে তার Counter
কলাকৌশল কাজে লাগিয়ে রিচার্ড নিক্সন দ্বিতীয় মেয়াদে
President বনে যান।ভালোই চলছিলো বেচারার কিন্তু বেচারার
গলার কাঁটা হয়ে দাড়ালো ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার দুইজন
সাংবাদিক যাদের একজন হলেন বব উডওয়ার্ড এবং অন্যজন
হলেন কার্ল বার্নস্টেইন। তারা রিচার্ড নিক্সনের এই অপকর্ম
উদ্ধার করতে সক্ষম হন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার
তৎকালীন নির্বাহী বেঞ্জামিন ব্রাডলির নির্দেশে প্রচার
চালিয়ে যান।

যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে রিপাবলিকান
ও নিক্সনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং মার্কিন
কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয় যদি নিক্সন ক্ষমতা ধরে রাখতে চান
তবে তাকে অভিশংসন (Impeachment) করা হবে।যখন
অভিশংসনের চুড়ান্ত পর্যায় তখন রিচার্ড নিক্সন মনে করলেন এ
পর্যন্ত অনেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি
হলেও শেষ পর্যন্ত তারা রেহাই পেয়ে গেছেন।কিন্তু আমিই
হয়তো একমাত্র প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছি যে অভিশংসনের হাত
থেকে রেহাই পাবে না । তাই সবকিছু মাথায় রেখে রিচার্ড
নিক্সন ৯আগস্ট,১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ
করতে বাধ্য হন।ইতিহাসে এই ঘটনাটিই ওয়াটার গেট
কেলেঙ্কারি। পরবর্তীতে এই ঘটনার উপর’ All the Presidents Men’ নামে একটি
সিনেমাও তৈরী করা হয়েছে।

ruman Doctrine(ট্রুম্যান নীতি) :

১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট
ছিলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট।১৯৪৫ সালে রুজভেল্ট মারা
যাবার পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন হ্যারি এস
ট্রুম্যান।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিশ্ব রাজনীতি নতুন
দিকে মোড় নেয় এবং বিশ্ব রাজনীতির এই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৭
সালে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান আমেরিকার জন্য যে
পররাষ্ট্রনীতি প্রনয়ন করেন সেটিই মূলত ট্রুম্যান ডকট্রিন।

বিসিএস আন্তর্জাতিক | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচাইতে
ধনী ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভূত হয়। দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের সময় যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন একই
সাথে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, কিন্তু ১৯৪৫ সালের
পরপরেই তাদের সম্পর্ক দ্রুত শীতল হয়ে যায় এবং ১৯৪৭ সালের
মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে স্নায়ু-যুদ্ধ বা শীতল-যুদ্ধ (Cold War) শুরু
হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালের ১২ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান যে
পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন তাকে ট্রুম্যান মতবাদ বা Truman
Doctrine বলে। এই মতবাদের প্রধান প্রধান দিক হলো—-

  • সমাজতন্ত্রের বিস্তার রোধ এবং এ লক্ষ্যে জোট গঠনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • কোনো সশস্ত্র বিপ্লবী গোষ্ঠী বা কোনো বহিরাগত শক্তি
  • যদি কোনো দেশে বিপ্লব সংঘটিত করতে চায়, সেই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিপ্লবীদের বিরুদ্ধের সরকারকে সমর্থন করবে। আর এই সমর্থনের ধরন হবে, আর্থিক ভাবে বিপ্লব বিরোধীদের সমর্থন করা এবং যুক্তরাষ্ট্র বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তার সেনাবাহিনী পাঠাবে না। অব্যাহত সোভিয়েত হুমকি মোকাবেলা করার জন্য ১৯৪৮ সালের ১২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র গ্রীস এবং তুরস্ক সরকারকে সাহায্য করার জন্য আর্থিক মঞ্জুরী ঘোষণা করে।
  • পশ্চিম ইউরোপসহ দূরপ্রাচ্য,মধ্যপ্রাচ্য,দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন প্রভাব বজায় রাখা।
  • ট্রুম্যান মতবাদ অনুসারে যেসমস্ত দেশ সোভিয়েত কমিউনিজমের হুমকির মুখে ছিল, সেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীসময়ে ইউরোপের বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জর্জ সি. মার্শাল ১৯৪৭ সালে ইউরোপকে আর্থিক সাহায্য করার প্রস্তাব করেন। এই পরিকল্পনাকে বলা হয় মার্শাল প্ল্যান। মার্শাল প্লানের অধীনে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সল পর্যন্ত ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্র বিপুল আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। এতে ইউরোপের বিধ্বস্ত অর্থনীতি আবারো চাঙ্গ হয়ে উঠে।
  • বিভিন্ন সামরিক ও অর্থনৈতিক জোট গঠন করা।যেমন-১৯৪৯ সালে সোভিয়েত হুমকিকে মোকাবেলা করার জন্য ন্যাটো বা উত্তর অাটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (North Atlantic Treaty Organization বা NATO) গঠিত হয়, যা এখনো বিদ্যমান।
  • পারমানবিক অস্ত্রের উৎপাদন ও মহাকাশ অভিযান।
  • ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।
  • বিভিন্ন দেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন দান।
  • অনুন্নত দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সাহায্য দান।

আরো পড়ুন:

1 thought on “বিসিএস আন্তর্জাতিক | গুরুত্বপূর্ণ টপিকস”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You're currently offline !!

error: Content is protected !!