রাষ্ট্রপতি নিজে যে আইন জারি করে তাকে অধ্যাদেশ বলে।
ইংরেজিতে অধ্যাদেশকে ordinance বলে।
সাধারণত যখন সংসদ অকার্যকর থাকে অথবা যখন সংসদের অধিবেশন বন্ধ থাকে তখন রাষ্ট্রের জরুরী প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি নিজের একক ক্ষমতাবলে যে আইন জারী করে তাকে অধ্যাদেশ বলে।
সংবিধানে অধ্যাদেশ প্রণয়ন সংক্রান্ত বিধান:
সংবিধানের ৯৩(১) উপ-অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি দু’ অবস্থায় অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
- প্রথমত, সংসদের কোন অধিবেশন না থাকলে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তিনি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
- দ্বিতীয়ত, সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন
অধ্যাদেশের মর্যাদা:
৯৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যে অধ্যাদেশ জারী করেন তা সংসদের আইনের ন্যায় সমান ক্ষমতা সম্পন্ন হবে। কারণ অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির তথা নির্বাহী বিভাগের একটি প্রণয়নগত ক্ষমতা।
অধ্যাদেশ প্রণয়নের শর্তসমুহ:
০১। এমন কোনো বিধান করা হবে না যা সংসদের আইন দ্বারা আইনসংগত করা যায় না।
০২। সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তিত বা রহিত হয়ে যায় এমন কোনো অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা যাবে না।
০৩। পূর্বে প্রণীত কোনো অধ্যাদেশের যে কোনো বিধানকে অব্যাহতভাবে বলবৎ করা যায় এমন কোনো অধ্যাদেশ করা যাবে না।
অধ্যাদেশ জারীর পরবর্তী প্রক্রিয়া:
০১। কোনো অধ্যাদেশ জারির পূর্বে যদি তা ইতঃপূর্বে বাতিল না হয় তাহলে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে সেটি উপস্থাপিত হতে হবে এবং উপস্থাপনের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অনুমোদন না দিলে অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যাবে।
০২। ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পুর্বেই সংসদ অধ্যাদেশ টিকে অননুমোদন করে প্রস্তাব পাশ করতে পারে। এরুপ প্রস্তাব যেদিন পাশ হবে সেদিন থেকে অধ্যাদেশটি অকার্যকর হবে।
মুহাম্মদ ইরফান উদ্দীন | ৩৭ তম নন ক্যাডার (সুপারিশপ্রাপ্ত)
আরো পড়ুন:
- বিভিন্ন সংস্থার সদর দপ্তর
- বিসিএস প্রিলি সূচিপত্র (সকল বিষয়, সকল অধ্যায়)
- কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান
- কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- বিসিএস মডেল টেস্ট: অনলাইন এক্সাম