দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে

আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ সালে।

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দুটি দল ছিল Allies মিত্রশক্তি ও Axis অক্ষশক্তি।

মিত্রশক্তিতে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন,ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়ন(রাশিয়া)

অক্ষশক্তিতে ছিল জার্মানি,জাপান ও ইতালি।

জার্মানির চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সর্বাধিক লোক মারা যায় প্রায় সাত কোটি যাদের মধ্যে ইহুদির সংখ্যা ষাট লক্ষ।

প্রথম দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন অক্ষশক্তিতে ছিল পরবর্তীতে এসে মিত্রশক্তিতে যোগ দেয়।

১৯৯০ সালের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায় এবং ১৫টি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় যার মধ্যে রাশিয়া ছিল মূল ভূ খন্ড।

যুদ্ধের প্রায় শেষ দিকে এসে ইতালি ও যোগ দেয়।কিন্তু অধিকাংশ সময় ইতালি অক্ষশক্তিতে ছিল বিধায় আমরা অক্ষশক্তিতে বিবেচনা করি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যারা নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন মিত্র শক্তির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ও হেনরি অট্রুম্যান, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টান চার্চিল। চীনের পক্ষে চিয়াং কাই শেক,ফ্রান্সের পক্ষে চার্লস ডি গন এবং রাশিয়ার পক্ষে জোসেফ স্ট্র্যালিন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অক্ষশক্তির পক্ষে জার্মানির চ্যান্সেলর এডলফ হিটলার, ইতালির প্রেসিডেন্ট বেনিতো মুসোলিনি, তাকে বলা হয় ফ্যাসিবাদেরর জনক। ফ্যাসিবাদ মানে হচ্ছে হয় তুমি আমার কথা শুনবে না হয় চুপ থাকবে। তিনি অত্যান্ত কট্টরপন্থী নেতা ছিলেন। অন্যদিকে জাপানে ছিল হিরোহিতো।

উইনস্টান চার্চিল রাজনীতিবিদ হয়েও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান অন্যদিকে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট শান্তিতে নোবেল পান।

উইনস্টন চার্চিল, ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট,জোসেফ স্ট্র্যালিন কে একত্রে Desert fox big 3 বলা হয়।

এডলফ হিটলারের রাজনৈতিক দল nazi party এবং রাষ্ট্রীয় পদবী চ্যান্সেলর।

হিটলারের গোপন পুলিশ বাহিনীর নাম গোস্টাপো। প্যারামিলিটারী ফোর্স ss এবং প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী (প্রোপাগান্ডা মানে গুজব রটিয়ে বেড়ানো)গুয়েলস।

মূলত হিটলার ও নাৎসিবাদের উত্থানের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।

১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জার্মানির পরাজয় হলে ২ নভেম্বর ১৯১৭সালে যুক্তরাষ্ট্রেরর নেতৃত্বে বেলফোর ঘোষনা মেনে নিতে হয়।বেলফোর ঘোষণার মূলভিত্তি ছিল ইহুদিদের ইউরোপে বসবাসের সুযোগ করে দেয়া, যারা মধ্য পাশ্চ্য সহ বিভিন্ন দেশে আছে।ফলে বহু ইহুদি ইউরোপে প্রবেশ করে এবং ইউরোপে বিরাট অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ১৯৩০ সালে সৃষ্ট এই মন্দাকে বলা হয় the great depression. আর এডলফ হিটলার ও সাধারণ মানুষ এর জন্য ইহুদিদের দায়ী করেন। মূলত এর জন্য ইহুদিদের দায়ী করা যায় না তখনকার সময় যুক্তরাষ্ট্রেরর ওয়ালস্ট্রিটের ধ্বসের ফলে এ মন্দার সৃষ্টি হয়। ফলে ইহুদি বিরোধী আন্দোলন থেকে নাৎসিদের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, এসময় হিটলার ক্ষমতা দখল করে এবং ইহুদিদের উপর চরম নির্যাতন চালায়।

পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সুচনা হয় এবং পার্ল হারবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপথকে পাল্টে দিয়ে ছিল।

৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপান পার্ল হারবার অথ্যাৎ যুক্তরাষ্ট্রেরর বিমান ঘাটিতে আক্রমণ করে ফলে ১৯৪২ সালে এসে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেয়। যা জাপান বাধ্য করে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র little boy নামে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় ও ৯ আগস্ট fat man নামে নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এই বোমাগুলো মূলত নিক্ষেপ করা হয়েছিল জাপানের আত্নসম্পর্নের জন্য। অন্যদিকে জাপান কামাকাজি আক্রমণ করত।কামাকাজি আক্রমণ মানে প্লেইন দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের নৌ ঘাটির মধ্য আত্নঘাতি আক্রমণ। ফলে যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ করতে বাধ্য হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামারি সময়ে অসুস্হ হলে হেনরি ট্রুম্যান ক্ষমতায় আসেন।তিনি জাপানে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপের নির্দেশ দেন।তিনি নিজে পঙ্গু ছিলেন, হুইল চেয়ারে বসে কাজ করতেন তবে অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন।


আরো পড়ুন:


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You're currently offline !!

error: Content is protected !!