#ভাইভা…
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় কুমিল্লার বার্ডের ভূমিকা কি?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রকে এক করে জালটি বিছানো হয়েছে কুমিল্লার বার্ড থেকে। সেখানে ষড়যন্ত্রকারীরা একাধিক বৈঠক করেছে। ঢাকার আগামসি লেন হয়ে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের দুটি ইউনিটের সেনা কর্মকর্তারা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অনেক গোপনীয় মিটিং করা হয় এ কুমিল্লার বার্ডে।বাংলাদেশে ৭৪ সালে বন্যা শুরু হলে অনেক ফসল নষ্ট হয়। বার্ড বন্যা উত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করে।সেই বন্যা উত্তর কর্মসূচি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। কর্মসূচিটি পরে স্বনির্ভর বাংলাদেশ কর্মসূচি হিসেবে চালু হয়।
এ কর্মসূচির আড়ালে মাহবুব আলম চাষী,খন্দকার মোশতাক,তাহের উদ্দিন ঠাকুর,খন্দকার রশিদ,মেজর ফারুক,শাহ মোয়াজ্জেম কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় তার আলোচনা করতেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য কুমিল্লার বার্ড ও খন্দকার মোশতাকের আগামসি লেন ষড়যন্ত্রের বীজতলা হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্নঃ ৭ নভেম্বর সম্পর্কে আপনার ধারণা বলুন।
উত্তরঃ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭৫ এর ৩ নভেম্বর এ দেশের জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা করা হয়।শুরু হয় বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতি অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থান খেলা।
১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর তথাকথিত সিপাহি বিদ্রোহের নামে খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ (বীরউত্তম),কে এন হুদা( বীরউত্তম), ও এটি এম হায়দার (বীরবিক্রম) সহ গুটিকয়েক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। ৭ নভেম্বরকে অনেকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বললেও এটিকে মুক্তিযুদ্ধো সৈনিক হত্যা দিবস বলাই সমীচীন বলে আমি মনে করি।
হিরাত উদ্দীন | Zakir's BCS specials