পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশ

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশ | স্বাধীনতার ৪৬ বছরে পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরে হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রকল্পটি পশ্চিম পাকিস্তানে সরিয়ে নেয় পাকিস্তান সরকার। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প হাতে নেন।

গত ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে ২০২২ সালে। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের দুটি ইউনিট থেকে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশ | রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল নির্মাণকাজ শুরুর মধ্য দিয়ে বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে ৩২তম সদস্য হয় বাংলাদেশ।এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার, মানে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। ইউনিট দুটোর কাজ শেষ হতে সময় লাগবে নয় বছর।

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

এই দুটো ইউনিট থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।প্রাক্কলিত নির্মাণব্যয় ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে দেবে রাশিয়া, বাকি ১৫০ কোটি ডলার বাংলাদেশ ব্যয় করবে। রাশিয়ার ঋণের সুদের হার হবে ৪ শতাংশ, যা ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৮ বছরে বাংলাদেশকে সুদাসলে পরিশোধ করতে হবে।

পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের বৈশিষ্ট্যঃ

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশ | পাঁচ স্তরের বিশেষ নিরাপত্তাবলয়ের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনকালীন কোনো ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। এ ছাড়াও রয়েছে রুশ প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর পরও যদি অনাকাক্সিক্ষত কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, এর তেজস্ক্রিয় পদার্থ জনগণের সংস্পর্শে যাবে না।

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি মোকাবেলার সক্ষমতা নিয়েই তৈরি করা হচ্ছে এ পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর। জাপানের ফুকুশিমা দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্লান্টটি।

এই প্লান্ট থেকে ধোঁয়া নির্গত হবে না, শব্দও হবে না।বাস্তবায়ন ব্যয় বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদি এবং গ্যাস, তেল ও কয়লার মতো জ্বালানি খরচ না থাকায় তুলনামূলক সস্তা হবে এই বিদ্যুৎ। এ প্রকল্পের ‘লাইফ’ বা জীবনশক্তি হবে ৫০ বছর। আর তা সংস্কার করলে দাঁড়াবে ৮০ বছর।

 লিখেছেনঃ লতিফুর রহমান লিটন

আরো পড়ুন:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You're currently offline !!

error: Content is protected !!
Scroll to Top