চর্যাপদের মূল পান্ডুলিপিটি কোথায়?
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পান্ডুলিপিটি নেপালের রাজদরবারে ফেরত দেন যথা সময়ে। ১৯৬৫ সালে নীলরতন সেন ঐ পান্ডুলিপি থেকে গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। গত শতকের ছয় দশকের মাঝামাঝি রাজদরবারের গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে সেটি জাদুঘরে পরিণত হয়। এই বইগুলো নেপালের জাতীয় আর্কাইভসে নেয়া হলেও চর্যাপদের মূল এবং সম্পূর্ণ খন্ডটি অার অক্ষত নেই। হয়তো হারিয়ে গেছে।
চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
উত্তরঃ চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা অাজ বলা সম্ভপর নয়। তবে অাধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য।
চর্যাপদে চিত্রিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিচয় দিন:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ দরিদ্র জনগোষ্ঠীগুলো হল মাঝি (কামলি), বেশ্যা (দারী) , শিকারী (অহেরী), নেয়ে (নোবাহী) । এছাড়াও ডোমিনীর নগরে তাঁত ও চেঙারি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের কথা উল্লেখ রয়েছে । এছাড়াও চর্যাপদে কাপালিক( কাপালি), যোগী (জোই) , পণ্ডিত আচার্য(পণ্ডিতচার্য) , শিষ্য (সীস) ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর জীবযাপন চিত্রিত হয়েছে।
চর্যাপদের পদকর্তাদের সম্পর্কে ধারণা দাও:
চর্যাপদের মোট কবি ২৩ জন। এ নিয়েও বিতর্ক আছে; যেমন অনেকেই বলেন দারিক পা আর দাড়িম্ব পা আলাদা ব্যক্তি,কিন্তু গ্রহণযোগ্য মত হল, এই দুইজন একই ব্যক্তি। এভাবে একেকজনের গণনায় কবির সংখ্যা একেকরকম; তবে গ্রহণযোগ্য মত ২৩ জন।
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | চর্যাপদের প্রাচীনতম কবি সরহ পা । অনেকে দাবি করেন, লুই পা সবচেয়ে পুরোনো; তাদের এই ধারণার পক্ষে প্রমাণ, চর্যার প্রথম পদটি তার রচিত, এই প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আদিকবি’ও বলা হয়। কিন্তু পরে এটা প্রমাণিত হয়েছে,চর্যাপদের কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম কবি সরহ পা-ই। আর সবচেয়ে বেশি পদ লিখেছেন কাহ্নু পা, ১৩টি। সরহ পা লিখেছেন ৪টি পদ। ভুসুক পা লিখেছেন ৮টি, কুক্কুরী পা ৩টি,লুই পা, শান্তি পা আর সবর পা ২টি করে। বাকি সবাই ১টি করে পদ লিখেছেন।
৫। চর্যাপদে চিত্রিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিচয় দাও:
চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন?
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ ১৮৮২ সালে প্রকাশিত Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র সর্বপ্রথম নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন | রাজেন্দ্রলাল মিত্রের বই হতেই প্রভাবিত হয়েই মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, “চর্যাচর্যবিনিশ্চয়” নামে কিছু পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন |পরবর্তীতে ১৯১৬ সালে “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ” ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয় ড. মহামোহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকাশনায় |এটিই পরে চর্যাপদ নামে পরিচিতি পায় |
চর্যাপদের সাহিত্যিক মূল্য আলোচনা করুন:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদ প্রধানত তত্ত্ববাদের বাহন, গৌণত কবিতা । চর্যাকারেরা দার্শনিক পরিভাষা ও তন্ত্রের বিশেষ শব্দের সাহায্যে তত্ত্বদর্শনকে প্রকাশ করতে গিয়ে নানা চিত্রকল্প,উপমা, রূপকের প্রয়োগ করেছেন । সাহিত্যিক এসব উপাদান ব্যবহারের ফলে চর্যাপদ ক্রমেই সাহিত্যের পরিসীমায় এসেছে । কাব্যগুণ সমৃদ্ধ সুন্দর চিত্রের বর্ণনা চর্যাপদের অনেক স্থানে লক্ষ্য করা যায় । প্রকৃতি ও মানুষের কাব্যময় চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে চর্যাপদে । চর্যাপদের ছন্দে সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । চর্যাপদে প্রচুর অনুপ্রাসের ব্যবহার করা হয়েছে । তাই আমরা বলতে পারি, তত্ত্বদর্শন প্রকাশে চর্যাপদের যেমন অন্যান্য মূল্যবান গ্রন্থ । তেমনি সাহিত্যের বিবিধ বিষয় নির্মাণে চর্যাপদ ভূয়সী প্রশংসার দাবীদার । চর্যাপদের সাহিত্য মূল্য ও অবদান অবিস্মরণীয় ।
প্রশ্নঃ চর্যাপদের ১ম পদের ২ লাইন লিখুন:
উত্তর:কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল, চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল ।
চর্যাপদের ভাষা কি?
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদের ভাষা মূলত প্রাচীন বাংলা ভাষা । তবে এতে অপভ্রংশ তথা মৈথিলী, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষার প্রভাবও দেখেতে পাওয়া যায়। অনেকেই এর ভাষাকে সান্ধ্যভাষা বলে অবিহিত করেন। চর্যাপদের প্রবাদ পুরুষ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে . আলো আঁধারী ভাষা, কখনো বোঝা যায় কখনো যায় না । তবে চর্যা পদের ভাষা যে প্রাচীন বাংলা ভাষা তা গবেষণার দ্বারা প্রমাণ করেছে প্রমাণ করেছে ড. সুনীতি কুমার চট্টোপ্যাধায়। ভাষার বৈশিষ্ট্য ১. ভাব কোথাও স্পষ্ট কোথায় অস্পষ্ট ২. পদগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
চর্যাগীতির ভাষা বিতর্ক লিখুন:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদের সংগ্রহ প্রকাশিত হওয়ার পর এর ভাষা নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন ভাষাবাষীরা তাদের নিজ ভাষার প্রাচীনতম নমুনা হিসেবে দাবি করেছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর সম্পাদিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থের ভূমিকায় চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং ডাকার্ণব-কে সম্পূর্ণ প্রাচীন বাংলার নিদর্শন বলে দাবি করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কর্তা ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভও তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাগীতিকে বাংলার প্রাচীন নমুনা হিসেবে অস্বীকার করেছিলেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাগান ও দোহাগুলির ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে‒ তাঁরThe Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে,এইগুলিকেই প্রাচীন বাংলার নিদর্শন হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র প্যারিস থেকে প্রকাশিত হয় Les Chants Mystique de Saraha et de Kanha গ্রন্থে সুনীতিকুমারের মত গ্রহণ করেন। রাহুল সাংকৃত্যায়ন বা অন্যান্য ভাষার বিদ্বজ্জনেরা যাঁরা চর্যাকে নিজ নিজ ভাষার প্রাচীন নিদর্শন বলে দাবি করেছিলেন, তাঁরা এই রকম সুস্পষ্ট ও সুসংহত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের দ্বারা নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন নি।
চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে লিখুন:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্বকথা বিধৃত হয়েছে | বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ তাদের ধর্মীয় রীতিনীতির নিগূঢ় রহস্য চর্যাপদে রূপায়ণ করেছেন | বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান শাখা কালক্রমে যে উপশাখায় বিভক্ত হয়েছিল তারই বজ্রযানের সাধন প্রণালী ও তত্ত্ব চর্যাপদে বিধৃত| মহাসুখরূপ নির্বাণ লাভ- এই হল চর্যার প্রধান তত্ত্ব | চর্যার ধর্মমত বিশেষ দীক্ষিত জনের প্রতি উদ্দীষ্ট বলে তাকে বিশুদ্ধ লোকধর্মের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মনে করা হয় না |
চর্যাপদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন চর্যাপদ। এটি মুলত বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচিত গান/কবিতা/পুঁথির সংকলন। চর্যাপদের সমসাময়িককালে বাংলাদেশে যে সব সংস্কৃত-প্রাকৃত-অপভ্রংশ সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলো প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের প্রত্যক্ষ উপকরণ নয়। চর্যার এই পদগুলো সম্পর্কে ১৯০৭ সালের আগে কোন তথ্যই জানা ছিল না। ১৮৮২ সালে প্রকাশিত “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র সর্বপ্রথম নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশ করে যে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছিলেন তাতে উদ্দীপ্ত হয়ে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে নেপালের রয়েল লাইব্রেরি তথা রাজ গ্রন্থাগার থেকে ১৯০৭ সালে সে সাহিত্যের কতগুলো পদ আবিস্কার করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এগুলোর নাম দেন চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। এই পদগুলোই পরবর্তীকালে চর্যাপদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
কবে, কোথায়, কীভাবে এবং কার সম্পাদনায় চর্যাপদ প্রকাশিত হয়? এর সাথে আর কোন কোন গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ?
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ ড. মহামুহপাধ্যায় হর প্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় চর্যায় প্রাপ্ত পদগুলো ১৯১৬ সালে, বাংলা ১৩২৩ সনে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দুটি দোহাকোঁষ এবং ডাকার্ণব- এ চারটি পুঁথি একত্রে “হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা; অন্য তিনটি বাংলায় নয়-অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
চর্যাপদের ভাষা যে বাংলা তা সর্বপ্রথম কে প্রমাণ করেন:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদের আবিস্কারের সময় অনেক ভাষার পন্ডিতেরাই একে তাদের ভাষা বলে দাবি করেছিলেন বটে, কিন্তু ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে “Origin and Development of Bengali Language” গ্রন্থে এগুলোর ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন এবং প্রমান করতে সক্ষম হন যে,চর্যাপদ আর কারো নয়; সদ্য নির্মীয়মান বাংলা ভাষার নিদর্শন।
চর্যায় প্রাপ্ত পুঁথিতে কতটি গান ছিল?
উত্তরঃ চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে মোট ৫১ টি গান ছিল। তার মধ্যে ১ টি (১১ সংখ্যক) পদ টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যাত হয় নি। আবার পুঁথির কয়েকটি পাতা নষ্ট হওয়ায় তিনটি সম্পুর্ণ (২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক) পদ পাওয়া যায়নি। আবার একটি (২৩ সংখ্যক)পদের শেষাংশ পাওয়া যায়নি।
তাই পুঁথিতে সর্বসমেত সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে।
চর্যাপদের নাম সম্পর্কে কী জানেন?
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদের নাম সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে । চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে উল্লেখকৃত সংস্কৃত টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে এই পদ সংগ্রহের নাম”আশ্চর্য চর্যাচয়”।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিগুলোর নাম দেয়া হয়েছে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। এই দুটি নাম মিলিয়ে ড.প্রবোধচন্দ্র বাগচী “চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়” নামের পরিকল্পনা করেন।
সে আমলে শত শত চর্যাগীতি রচিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। মুনিদত্তের মত অনেকেই বিভিন্ন চর্যাগীতির টীকা রচনা করেছিলেন।
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেছিলেন”চর্যাগীতিকোষবৃত্তি” নামে। এতে মনে হয় মূল সংকলনের নাম ছিল”চর্যাগীতিকোষ”এবং এর সংস্কৃত টীকার নাম” চর্যাচর্যবিনিশ্চয়”। তবে,এর সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য নাম হলো চর্যাপদ।
চর্যাপদ গুলো কারা রচনা করেন ? সহজিয়া বলতে কি বোঝায়?
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ বৌদ্ধ সহজযান পন্থি। তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন পরিবর্তনের ধারায় সহজিয়াদের উৎপত্তি। স্বদেহ কেন্দ্রীক সহজ পন্থায় সাধনা করত বলে এদের সহজিয়া বলা হয়। সহজিয়াগণ তাত্বিক চিন্তা ধারার দ্বারা প্রভাবিত বলেই ধর্মসাধনায় দেহকে বাদ দেন নি। তাদের মতে, সমস্ত সত্য দেহের মধ্যে অবস্থিত, সেই সত্যই সহজ’। বৌদ্ধদের মতে, বৈষ্ণব সহজিয়া সম্প্রদায় | সহজিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাউলদের চিন্তার সাদ্শ্য রঢেছে।
ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাসের দিক থেকে চর্যাপদের গুরত্ব আলোচনা কর?
চর্যপদে নারীদের স্থান ও ভূমিকা সম্পর্কে লিখুন:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদের যুগের যুগে নারীরা খুবই স্বাধীন ছিল। তারা স্বেচ্ছায় পেশা ও সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার রাখত।
• কুক্কুরীপা তাঁর একটি পদে (২ নং) বলেছেন-
” দিবসহি বহুড়ী কাউহি ডর ভাই।
রাতি ভইলে কামরু জাই ।
(অর্থাৎ দিনের বেলা বউটি কাকের ভয়ে ভীত হয় কিন্তু রাত হলেই কামরূপ যায়। )
• কাহ্নপা একটি পদে (১০ নং) পদে জানিয়েছেন,
এক ডোমিনী নগরে তাঁত ও চেঙ্গারি বিক্রি করে।
• ডোম্বী পাদের একটি পদে নারীদের নৌকা চালনা, নৌকার জলসিঞ্চন, লোক পারাপার ইত্যাদির মত কর্মে নিযুক্ত থাকার উল্লেখ পাওয়া যায়। তাছাড়া নারীরা গুরুর স্থানও অধিকার করেছিল।
চর্যাপদের ৬টি প্রবাদ বাক্য লিখুন:
চর্যাপদ প্রশ্নোত্তর | উত্তরঃ চর্যাপদের ৬ টি প্রবাদ বাক্য নিম্নরূপঃ
• আপণা মাংসে হরিণা বৈরী (অাপনা মাঁসে হরিণা বৈরী)
• দুহিল দুধু কি বেন্টে সামায় (দুহিল দুধু নাহি বেন্টে সামায়)
• হাতের কাঙ্কণ মা লোউ দাপন (হাতের কঙ্কণ মা লোউ দাপন)
• হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী
• বর সুন গোহালী কি মো দুঠ্য বলংদেঁ
• আন চাহন্তে আন বিনধা