আনকমন প্রবাদ ও বাগধারা :
১) অজার যুদ্ধে আঁটুনি সার /বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো/ পর্বতের মুষিক প্রসব (লঘু ফলাফলযুক্ত আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন)
২) অতি দানে বলির পাতালে হল ঠাঁই (সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ কর্মে নিয়োজিত ব্যাক্তি অন্যের কৌশলে ভোগান্তির শিকার হয়)
৩) অন্ধের হাতি দেখা( কোন বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা না নিয়ে শুধু অংশবিশেষ পর্যালোচনা করে সম্পুর্ন বিষয়ে মতামত ব্যাক্ত করা)
৪) অশ্বত্থামা হত ইতি গজ( কোন কথা পরিষ্কার করে না বলে কিছু সত্য গোপন করা)
৫) আসলে মুষল নাই ঢেঁকিঘরে চাঁদোয়া / বাইরে কোঁচার পত্তন, ভিতরে ছুঁচোর কেত্তন ( সংগতিহীন হয়েও বড়মানুষি ভাব)
৬)ওঝার বেটা বনগরু ( পন্ডিতের মূর্খ পুত্র)
৭)কংস মামা ( নিকটজনের বিরুদ্ধে প্রবল বিদ্বেষ পোষনকারী)
৮)কাকতালীয় ব্যাপার( কার্যকারনহীন ঘটনা। পরস্পর সম্পর্কহীন অথচ একসংগে সংঘটিত ঘটনা যা দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক আছে)
৯) কালনেমির লংকা ভাগ( মাত্রারিতিক্ত আশা করে নিরাশ হওয়া/ কাজে নামার আগেই লাভের হিসাব করা)
১০)গজকচ্ছপের লড়াই( প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা / দুই প্রবল প্রতিপক্ষের মধ্যে দীর্ঘকালব্যাপী সংঘর্ষ
১১) গজকপিত্থবৎ ( অন্তঃসারশূন্য অবস্থা) | প্রবাদ ও বাগধারা
১২) গন্ধমাদন বয়ে আনা( কাউকে কোন জিনিষ আনতে দিলে যদি একাধিক জিনিস টেনে আনে)
১৩) ঘুটে পোড়ে গোবর হাসে( অন্যের কষ্ট দেখে আনন্দ প্রকাশ, অবশেষে নিজেকে অই ধরনের যন্ত্রনা পেতে হবে।
১৪) চিত্রগুপ্তের খাতা( কপালের ভবিষৎ ফলাফলের নির্ভুল হিসাব/ মানুষের পাপপুণ্য এর নির্ভূল হিসাব)
১৫)ছকড়ানকড়া ( অবজ্ঞা সূচক ব্যাবহার, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা)
১৬) জড়ভরত( নিস্ক্রিয়, নিরুদ্দম ও অত্যন্ত বোকার মতো চলাফেরা
১৭) ঠুঁটো জগন্নাথ( অলস ব্যাক্তির কর্মহীন হয়ে বসে থাকা)
১৮) ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার( বৃথা আস্ফালন করা ব্যাক্তি/ নিজের অযোগ্যতাকে কথার মারপ্যাঁচে ঢাকা)
১৯)ঢাকের বায়া( অনাবশ্যক / অকেজো সংগী)
২০) দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার( প্রলয়কাণ্ড, চরম হট্টগোল / লন্ডভন্ড কর্মকান্ডে বিপর্যস্ত অবস্থা)
২১) দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ( মন্দ বংশে ভালো লোক)
২২) ধর লক্ষণ( যে কাজটি করতে বলা হয়নি অথচ করা যুক্তিযুক্ত সে কাজটি না করা/ অতি অনুগত ও বোকারা কর্তার ইংগিত, উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় না বুঝে পরিষ্কার নির্দেশ ছাড়া কোন কাজে হাত দেয়না)
২৩) ধর্মের ষাড়/ গোকুলেরষাঁড় / খোদার খাসি( স্বচ্ছন্দে বিচরণকারী ও পরের অনিষ্টকারী)
২৪)নারানাং মাতুল ক্রম: ( মানুষ মাতুল বা মামার অনুসরণকারী)
২৫)পরশুরামের কুঠার( সর্ব সংহারক অস্র/নৃশংসভাবে প্রতিশোধগ্রহণের অস্র)
২৬)পিপু ফিশু( বড় কুড়ে, নিতান্ত অলস, গোফ খেজুরে)
২৭)ফতো নবাব( পরপুষ্ট বা অন্তঃসারশূন্য)
২৮)বিদুরের খুদ( গরীবের সামান্য উপহার)
২৯)বিন্দেদূতী ( কেউ কারো কথা পরস্পরের মধ্যে চালাচালি করা)
৩০) ভবতি বিজ্ঞতম: ক্রমশো জন: ( মানুষ ক্রমে ক্রমে বিজ্ঞ বা দক্ষ হয়ে ওঠে / গাইতে গাইতে গায়েন)
৩১) ভাগের মা গংগা পায়না( যে কাজ ভাগাভাগি করে করা হয় সে কাজ সূচারুরূপে হয়না বা পন্ড হয়ে যায়)
৩২)ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা ( অবিচল বা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা) | প্রবাদ ও বাগধারা
৩৩)ভুশুন্ডি কাক( বহুদর্শী দীর্ঘজীবী প্রবীণ ব্যাক্তি)
৩৪)ভেড়াকান্ত ( নির্বোধের মত অন্যের কথায় চলে নিজের বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করতে পারেনা)
৩৫) ভেড়ার গোয়ালে আগুন লাগা( প্রতিকারে উপায় চিন্তা না করে হইচই করা)
৩৬) ভেড়ার গোয়ালে বাছুর মোড়ল/ দূর্বা বনে খাটাশই বাঘ( বিজ্ঞ/ বুদ্ধিমান লোক নেই এমন স্থানে অল্পজ্ঞান সম্পন্ন ব্যাক্তি ও অভিজ্ঞ হিসেবে মাতাব্বরি করার সুযোগ পায়
৩৭)মরার সময় মকরধ্বজ ( শেষ মূহুর্তের জন্য ক্ষীণ আশার সঞ্চার হিসেবে কোন কাজ করা)
৩৮)মাছিমারা কেরানি( ভুল ত্রুটির দিকে খেয়াল না রেখে কোন কাজ হুবহু অনুকরণ করা)
৩৯)মাছের মায়ের পুত্রশোক ( কারো অনিষ্ট করে ক্ষতিগ্রস্ত কে স্বান্তনা দিতে আসা)
৪০)যে দামে কেনা সে দামে বিক্রি( অবৈধভাবে অর্জন করা ধন বিনিষ্ট হলে/ যা কিনতে অর্থ খরচ হয়নি তা নষ্ট হলে লাভ ক্ষতির হিসাব চলেনা)
৪১)শকুনিমামা ( কূটবুদ্ধি দাতা ব্যাক্তি)
৪২) লাগে টাকা দেবে গৌরি সেন( অর্থের অহেতুক অপচয়)
৪৩)শিখন্ডি খাড়া করা( কাউকে আড়াল করে অন্যায় কাজ করা)
৪৪) শিবরাত্রির সলতে/ সবেধন নীলমণি ( একমাত্র বংশধর)
৪৫) শুভংকরের ফাঁকি ( হিসেব নিকেশের মারপ্যাঁচে আসল বিষয় চেপে রেখে কর্তৃপক্ষ বা সাধারন মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ফায়দা হাসিল)
৪৬) ষন্ডামার্কা(গোয়ার অথচ মূর্খ/ গুন্ডা প্রকৃতির)
৪৭)ষাড়ের গোবর( অকেজো বা অকর্মণ্য মানুষ)
৪৮)সাত নকলে আসল খাস্তা( মূল জিনিষ একের পর এক অনুকরণে হতে থাকলে মূল থেকে বিকৃত হতে হতে অনেক দূরে চলে যায়।
৪৯) হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী ( নির্বোধের পরামর্শে চলা নির্বোধ লোক)
৫০) হরি ঘোষের গোয়াল( নিষ্কর্মা লোকের আড্ডাখানা) | প্রবাদ ও বাগধারা