২৩শে সেপ্টেম্বর | আজ ২৩শে সেপ্টেম্বর। সারা বিশ্বে দিন-রাত সমান। কিন্তু কেন প্রতি বছর এই দিনে এমনটা হয়। আসুন জেনে নিই।
আমাদের গোলার্ধে দিনটি ‘জল বিষুব’ বলে পরিচিত। বিষুব বছরের এমন একটি সময়, যখন দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বছরের দু’টি দিনে এ রকম হয়ে থাকে। দিনগুলোতে সূর্য বিষুবরেখা বরাবর অবস্থান করে। জলবিষুব বা শারদীয় বিষুব হয়ে থাকে ২৩শে সেপ্টেম্বর।
অন্যদিকে মহাবিষুব বা বসন্ত বিষুব হয়ে থাকে ২১শে মার্চে। সেদিন উত্তর গোলার্ধে ‘জল বিষুব’। এদিন সূর্য উত্তর আর দক্ষিণ অয়নান্তের মাঝামাঝি ঠিক বিষুব রেখা বরাবর কিরণ দেবে। ফলে পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান থাকবে।
২৩শে সেপ্টেম্বর | অন্যদিকে আগামীকাল থেকেই সূর্যের চারদিকে আপন কক্ষপথে পৃথিবীর পরিক্রমণের কারণে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে সরে যেতে শুরু করবে। আবহাওয়াও উত্তরা বাতাসে শীত থেকে শীতার্ত হবে। ধীরে ধীরে দীর্ঘ হবে পরবর্তী রাতগুলি।
এছাড়া, ২০শে মার্চ সূর্য তার দক্ষিণ গোলার্ধের অবস্থান শেষ করে উত্তর গোলার্ধের দিকে যাত্রাকালে বাংলাদেশে রাতের শেষের দিকে বিষুবরেখার উপর অবস্থান নেয়। তাই পরদিন অর্থাৎ ২১শে মার্চ পৃথিবীর উভয় গোলার্ধের দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়। এর নাম মহাবিষুব বা বসন্ত বিষুব।
২১শে মার্চের পর থেকে পৃথিবী তার কক্ষপথে সূর্যকে পরিক্রমণ করতে থাকায় সূর্য ধীরে ধীরে উল্টর গোলার্ধে সরে যায় এবং কর্কটক্রান্তি রেখা পর্যন্ত পৌঁছে আবার দক্ষিণে যাত্রা শুরু করে। বাসন্তিক বিষুবের সূর্য যখন উল্টর গোলার্ধে দেখা যাবে তখন দক্ষিণ মেরুতে দীর্ঘ ছয় মাসের জন্য নেমে আসবে রাত।
২৩শে সেপ্টেম্বর | সূর্যের অবস্থান বিষুবরেখা ও এর সাড়ে ২৩ ডিগ্রি উত্তর ও দক্ষিণ বিন্দু পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকায় পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে সূর্যকে কখনো অস্ত যেতে দেখা যায় না। শুধু দিগন্ত বরাবর ঘুরতে দেখা যায়। সূর্যের এই বিভিন্ন অবস্থানের কারণে একই সময়ে একেক মহাদেশে ভিন্ন ঋতু অনুভূত হয়। সূর্য যতই উত্তর দিকে অগ্রসর হবে বাংলাদেশে ততোই বেশি গরম অনুভূত হবে।
২৩শে সেপ্টেম্বর | আর দক্ষিণ গোলার্ধে বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও আশপাশের দেশগুলোয় শীত অনুভূত হবে। আজ জল বিষুবের দিন থেকে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে সরে যেতে শুরু করবে। ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া শীতার্ত হওয়া শুরু করবে।