ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন

২০২১ সালের ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন

ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় মুক্তপেশা বা স্বাধীন পেশা। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে তরুণ প্রজন্ম এই পেশার দিকে অধিকতর ভাবে ঝুকে পড়ছে। আজকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করবো এবং আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কোর্সটি উপযোগী সেই সম্পর্কে জানবো।


ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিংকে আজকাল স্মার্ট পেশা হিসেবে মনে করা হয়। এই পেশাটির মূলকথা হলো আপনাকে কোনো একটি কাজে বিষেশভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেই দক্ষতা দিয়ে মানুষের কাজ করে দিয়ে ইনকাম করার নামই ফ্রিল্যান্সিং

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সতকর্তাঃ

ফ্রিল্যান্সিং নামের স্মার্ট পেশাটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আপনাকে কতকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে পৃথিবীতে সবকিছুর প্রতিযোগিতা বাড়ছে। সেই সাথে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদাও যেমন বাড়ছে, তেমনি এই খাতে সাড়া বিশ্বব্যাপি প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিয়ে ভালোকিছু করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোনো একটি বিষয়ের উপর লেগে থাকার মানষিকতা থাকতে হবে। এছাড়াও আপনাকে হতে হবে ধের্যশীল এবং ত্যাগী। কমপক্ষে ৪/৬ মাস থেকে ২ বছর সময় নিতে প্রথমে আপনাকে কোনো একটি কাজে বিশেষভাবে পারদর্শী করে তুলতে হবে এবং তারপড়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আয় করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশীরা অনেকেই যে ভুল কাজটি করে থাকি সেটি হচ্ছে ভালোভাবে কাজ না শিখে মার্কেটপ্লেসে বিড করি। পরে বায়ারদের কাজ ভালোভাবে করতে না পারলে খারাপ রিভিউ পাই এবং পরবর্তীতে ওই মার্কেটেপ্লেসে আর কোনো কাজ পাইনা। কাজেই আমাদের কে ভালোভাবে জেনে বুঝে তারপড় মার্কেটপ্লেসে যেতে হবে। এসব বিষয়ে আপনার পরিচিত কেউ থাকলে তাদের কাছ থেকেও গাইডলাইন নিতে পারেন।


ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোন কাজটি আপনার জন্য?

বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অনেক ধরণের কাজ পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন, থিম ডেভলপমেন্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এন্ড্রয়েড এ্যাপ ডেভলপমেন্ট, এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং,সিপিএ মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রিসহ আরো অনেককিছু বিষয়ের উপর কাজ পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কোনটা শিখবেন? বর্তমানে কোনটার চাহিদা কেমন? সবগুলো প্রশ্নের উত্তর আমি ধাপে ধাপে দিবো। মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশাকরি সবকিছু বুঝতে পারবেন। কোনটির উপর দক্ষতা অর্জন করে আপনি ফ্রিল্যান্সার হবেন এটার সম্পূর্ণটা আপনার উপর নির্ভর করবে। প্রথমে আমি আপনাকে বলবো আপনার যেটা করতে ভালো লাগে আপনি সেটা দিয়েই শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের দিক দিয়ে চিন্তা করলে প্রায় প্রত্যেকটি কাজের হিউজ পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। কাজেই আপনি আপনার ভালোলাগার কাজটি দিয়েই শুরু করতে পারেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে আরো কতকগুলো বিষয় আছে। যেমন আপনি কতদিন সময় দিয়ে শিখতে পারবেন? প্রতিদিন কতঘণ্টা সময় দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন? ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনি কোন কোর্সটি করে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করবেন। নিচে এই সম্পর্কে সংক্ষেপে বিস্তারিত দেওয়ার চেষ্টা করবো।


ওযেব ডেভলপমেন্টঃ

সহযভাবে ওয়েব ডেভলপমেন্ট বলতে বোঝায় ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েব অ্যাপ তৈরি করা। আপনার হাতে যদি যথেষ্ট পরিমাণ সময় থাকে এবং আপনি যদি কোডিং করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনি ওয়েব ডেভলপমেন্ট শিখতে পারেন। দৈনিক কয়েক ঘণ্টা সময় দিয়েই এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই আপনি অনেক ভালোমানের ওয়েব ডেভলপার হতে পারবেন।


গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

বর্তমানে চাহিদা সম্পূর্ণ কোর্সগুলির মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন অন্যতম। আপনার যদি আকাআকি ভালো লাগে তবে আপনি এই কোর্সটি করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। তবে জেনে রাখা ভালো এটা কিন্তু সম্পূর্ণরুপে একটি ক্রিয়েটিভ পেশা। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলির মধ্যে অন্যতম হলো লগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইনসহ আরো অনেক ধরণের কাজ রয়েছে।


ভিডিও এডিটিংঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো ভিডিও এডিটিংও একটি ক্রিয়েটিভ পেশা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বহুল চাহিদা সম্পূর্ণ কাজগুলির মধ্যে ভিডিও এডিটিং উপরের সারিতে রয়েছে। আপনি ভিডিও এডিটিং শিখে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবিং করেও আয় করতে পারবেন। এছাড়া মার্কেটপ্লেসের কাজ তো আছেই। কাজেই আপনার যদি ইউটিউব নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থাকে তবে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন।


সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইওঃ

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে বোঝায় ওয়েবসাইটের তথ্য বা পোস্ট সমূহ গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে প্রথমের পেজে দেখানোর ব্যবস্থা করা। আমরা গুগলে কোনো কিছু একটা লিখে সার্চ দিলে গুগল সাথে সাথে আমাদের সামনে সেই তথ্য নিয়ে হাজির হয়। গুগল যে তথ্য গুলি নিয়ে আসে এগুলি এমনি এমনিই আসেনাই। এই তথ্যগুলি গুগলের সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেইজে দেখানোর জন্য ওয়েবসাইটের মালিকদের কিছু কাজ করতে হয়েছে, আর সেই কাজটা হলো এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। প্রত্যেকটি কোম্পানি বা ওযেবসাইটের মালিক চায় গুগলে তাদের প্রোডাক্টগুলো প্রথমে দেখানোর জন্য। তাই এই কাজটি করার জন্য তারা এসইও এক্সপার্ট হায়ার করে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বহুল চাহিদা সম্পূর্ণ কোর্সগুলির মধ্যে এসইও-এর জুড়ি নেই। আপনি এসইও শিখে নিজের ওয়েবসাইটকে গুগলে র‌্যাংক করাতে পারেন অথবা কোনো কোম্পানির হয়ে ঘরে বসে অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আয় করতে পারেন।


অ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ ডেভলপমেন্টঃ

আজকাল আমরা সবাই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি। বিশ্বের বেশিরভাগ স্মার্টফোন অ্যান্ডয়েড অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত। এটি গুগলের একটি অপারেটিং সিস্টেম। অ্যান্ড্রয়েটের প্রধান ফিচার হলো এর অ্যাপ বা অ্যাপ্লিকেশন। এ্যাপ ডেভলপমেন্ট শিখে আপনি কোনো কোম্পানির অ্যাপ ডেভলপার হয়ে কাজ করতে পারবেন অথবা গুগল প্লে স্টোরে তৈরিকৃত অ্যাপ আপলোড দিয়ে মনিটাইজ করে লাইফ টাইম ইনকাম করতে পারবেন।


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

আপনার যদি কোনোকিছুর রিভিউ নিয়ে লেখালেখি করার ইচ্ছা থাকে অথবা আপনি যদি ব্লগিং করতে স্বাচ্ছন্যবোধ করেন তবে আপনার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবথেকে ভালো অপশন। এখানে আপনাকে কোনো একটা নিশ বা বিষয় সিলেক্ট করে প্রোডাক্টের রিভিউ লিখতে হবে এবং রিভিউয়ে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক দিতে হবে। ভিজিটররা যদি আপনার লিংকে ক্লিক করে কোনো প্রডাক্ট কিনে তাহলে আপনি উক্ত প্রোডাক্টের কোম্পানির কাছ থেকে একটা নিদিষ্ট পরিমাণে পারসেন্টটিস পাবেন। এটা সেই অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির উপর নির্ভর করে হতে পারে ১০ থেকে ৩০% অথবা তার থেকে কমবেশি। আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কেউ প্রডাক্ট না কিনলেও আপনার ব্লগে গুগল এ্যাডসেন্স বসিয়ে আয় করতে পারেন। বর্তমান বিশ্বে অ্যামাজন, আলিএক্সপ্রেস, থিমফরেস্টের মতো অনেক কোম্পানি আছে যারা অ্যাফিলিয়েট পার্টনার নিয়োগ দেয়।


সিপিএ মার্কেটিংঃ

সিপিএ মানে হলো Cost Per Action. এখানে কোনো কোম্পানির প্রডাক্টকে আপনি প্রোমোট করবেন। সেটা হতে পারে পেইড প্রোমোশন অথবা ফ্রি প্রোমোশন। সিপিএ মার্কেটিংকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের একটি অংশ বলা হয়। সিপিএ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কোনো প্রডাক্ট সেল না হওয়া পর্যন্ত আপনি কোনো পারসেন্টটিস পাবেন না কিন্তু সিপিএ মার্কেটিংয়ে প্রতিটি ক্লিকের জন্য আপনি নিদিষ্ট একটা পরিমাণ এ্যামাউন্ট পাবেন। যদিও সেটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের তুলনায় অনেক কম।


ডাটা এন্ট্রিঃ

আপনার যদি টাইপিং স্পিড ভালো থাকে এবং আপনি যদি কয়েকদিন ট্রেইনিং দিয়েই অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হবে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা। অনলাইনে অনেক ধরণের ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়েব রিসার্চ, পিডিএফ টু ওয়ার্ড, ওয়ার্ড টু এক্সেল, ভয়েস টু টেক্সস ইত্যাদি। ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে আপনাকে কম্পিউটারের বেসিকসহ ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে মোটামুটি জানতে হবে।


কোথা থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করবেন?

আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য রিকোমান্ড করিনা। কারণ- কোনো প্রতিষ্ঠানই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে দিতে পারবেনা যদিনা আপনার পরিশ্রম, ধেয্য, ত্যাগ স্বীকার করার মতো ক্ষমাতা না থাকে। আজকাল অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশী কনটেন্ট, ভিডিও পাবেন যা দ্বারা আপনি ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে ভালো গাইডলাইনের জন্য যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন কিন্তু ভর্তি হওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে জেনে বুঝে, তাদের বিগত ব্যাচের স্টুডেন্টদের সফলতার বিষয়টি লক্ষ রেখে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। সবথেকে ভালো হয় যদি আপনার পরিচিত কোনো বড়ভাই অথবা পরিচিত কোনো স্বজনদের মধ্যে যদি কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে তবে তাদের কাছ থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন নিতে পারেন।


সবশেষে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইংরেজি কি জানতেই হবে? এক্ষেত্রে আমি বলবো জানলে অবশ্যই ভালো। ইন্টারন্যাশনাল কোনো মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে অন্ত্যন্ত কনভারশনাল ইংরেজি তো জানতেই হবে। অন্যদিকে, আপনি যদি চান দেশিয় কোনো কোম্পানিতে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, এসইও এক্সপার্ট অথবা অন্যকোনো বিষয় নিয়ে লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান তবে আপনার জন্য ইংরেজি শিখা বাধ্যতামূলক না।


সবকিছু বললাম কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কতটাকা আয় করা যাবে এই সম্পর্কে বলবো না?? এক্ষেত্রে আমি বলবো ইনকাম টা সম্পূর্ণরুপে আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি নিজেকে কতটা দক্ষ করে তুলতে পারছেন? আপনি দৈনিক কেমন সময় দিচ্ছেন?? আপনি প্রোগ্রামিং করতেছেন নাকি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেছেন? ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনার প্রতিমাসে ইনকাম কেমন হবে। তবে আপনি একটু বেশি সময় নিয়ে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো কোর্সগুলো শিখে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পারলে প্রতিমাসে আপনি লক্ষ থেকে কোটি টাকা পর্যন্তও ইনকাম করতে পারবেন। যদিও ডাটা এন্ট্রি, সিপিএ মার্কেটিংয়ের তুলনায় তুলনামূলকভাবে এই কোর্সগুলি একটু কঠিন, তবে ভালোভাবে শিখতে পারলে ভালোকিছু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বলে রাখি কঠিন কাজগুলি একবার শিখতে পারলে পরবর্তীতে খুবই সহজ মনে হবে এবং কাজ করতে মজা পাবেন।


আরো পড়ুন:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You're currently offline !!

error: Content is protected !!