১লা ফেব্রুয়ারি ২০২১
অভিযোগ/প্রেক্ষাপট :
মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থান | ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৩৪৬টি আসন (৮৩%) লাভ করে যেখানে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট। সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে।
দাবি মানা না হলে সেনাবাহিনী ফের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয় তারা। উল্লেখ্য ১লা ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা থাকলেও সেনাবাহিনী তা স্থগিতের আহবান জানিয়েছিল।
অভ্যুত্থানের ফলাফল :
০১। ভোট জালিয়াতির অপরাধে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট সহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
০২। ১ বছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
০৩। প্রতিরক্ষা বিভাগের কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লায়িং জরুরি অবস্থাকালে মিয়ানমারের সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
০৪। রাজধানী নেপিডো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গনের রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
০৫। প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং কিছে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
০৬। দেশব্যাপী সব ব্যাংক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া :
*** সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মিয়ানমার সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য :
০১। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন- ১৯৪৮ সালে।
০২। জেনারেল নি উইন বেসামরিক প্রশাসন বাতিল করেন – ১৯৬২ সালে।
০৩। অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে নি উইন পদত্যাগ করেন- ১৯৮৮ সালে।
০৪। অং সান সুচি শান্তিতে নোবেল শান্তি পুরষ্কার লাভ- ১৯৯১ সালে।
০৫। ২০০৮ সালে সংবিধানে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী রাজনৈতিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর হাতে স্বরাষ্ট্র, সীমান্ত ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে। পার্লামেন্টে নির্ধারিত আসনের এক–চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির সেনাবাহিনী।
০৬। ২০১০ সালে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে মিয়ানমার৷ গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পান শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী সু চি।
০৭। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি ২২৪টি আসনের (উচ্চ কক্ষ-অ্যামিওথা হুতথাও) মধ্যে ১৩৫টি আসন পেয়ে বিজয় অর্জন করে।
০৮। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পরিচালিত টিভি- মায়াওয়াদ্দি টিভি (এমআরটিভি)।