০৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ : পাকিস্থান কতৃক ভারতের বিমান ঘাঁটিতে আক্রমন। ভারত পাকিস্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধো ঘোষণা করে।
০৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ : যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপওা পরিষদে যুদ্ধ বিরতীর প্রস্তাব দেয়। সোভিয়েত ভেটো প্রদান করে। পোল্যান্ড বিপক্ষে ভোট দেয় এবং ব্রিটেন, ফ্রান্স ভোট দানে বিরত থাকে।
০৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ : জাতিসংঘের নিরাপওা পরিষদে সোভিয়াত দাবি জানায় পূর্ব পাকিস্থানের সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সমধান প্রয়োজন এতে চীন ভেটো দেয়, পোল্যান্ড সামর্থন জানায়।
জাতিসংঘের নিরাপওা পরিষদে আর্জেনটিনা সহ আটটি দেশ যুদ্ধ বিরতীর প্রস্তাব দেয়। সোভিয়েত ভেটো প্রদান করে।
০৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ : ভারতের কাছে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি লাভ এবং যশোর প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা ভূষিত হয়।
০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ : ভুটানের কাছে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি লাভ করে। ( এটা নিয়ে বির্তক আছে)
০৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ : প্রসিডেন্ট নিক্সকন অপেক্ষমান সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাএা করার নির্দেশ দেন।
১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ :খুলনার শিপইয়ার্ডের কাছে দায়িত্ব পালন কালে পলাশে ছোড়া পাকিস্থানে বোমে শহীদ হন বীর শ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রহুল আমিন।
সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে মালাক্কা প্রণালির পূর্বে অবস্থান করে।
১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ : যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপওা পরিষদে যুদ্ধ বিরতীর আবার প্রস্তাব দেয়। সোভিয়েত তৃতীয় বারের মত ভেটো প্রদান করে।
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ : বাংলার বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। নেতৃত্ব দেয় টিক্কা খান, রাওফরমান আলী এদের সহযোগিতা করে বাংলার আল বদর, আল শামস ও রাজাকরের।
মহানন্দা নদীর চরে বীররশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শহীদ হন।
১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: সোভিয়েতের অষ্ঠম নৌবহর ভারত মহাসাগড়ে অবস্থান নেয়।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ : মেজর জেনারেল জ্যাকব প্রস্তুত করা অাত্মসমর্পন দলিলে লে.জেনারেল নিয়াজি ও লে.জেনারেল আরোরার স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে।
২০ ডিসেম্বর ১৯৭১ : ভূট্টো বলেন “শেখ মুজিব কে প্রাণদন্ড দিলে পশ্চিম পাকিস্থানিরা দেশে ফিরতে পারবে না”।
২১ ডিসেম্বর ১৯৭১ : শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্যে দখলদার পাকিস্থান বাহিনী ১০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ টাকা জ্বালিয়ে দেয়, এতে সহযোহিতা করে মৌলভি ফরিদ আহমেদ, যিনি গণপিটুনিতে নিহত হন।
ভূট্টো বলেন, শেখ মুজবি কে শীঘ্রহ জেল থেকে মুক্ত করে গৃহবন্দী করা হবে।
২২ ডিসেম্বর ১৯৭১ : প্রবাসি মুজিব নগর সরকারের নেতৃবৃন্দ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে ক্ষমতা গ্রহন করেন।
শেখ মুজবি জেল থেকে মুক্ত করে গৃহবন্দী করা হয়।
২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ : মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। স্টেট ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক এ রূপান্তর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ : প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন “যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের ওপর ভারতের কোন প্রভাব রাখবে না”।
২৮ ডিসেম্বর ১৯৭১: মন্ত্রী হিসাবে অধ্যাপক ইউসুফ আলীর শপথ গ্রহন।
২৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ : ক্যাবিনেট সদস্যের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন। আবদুস সামাদ আজাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব নেন।