আমলকির উপকারিতা বলে শেষ করার মতো নয়। এই ফলটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এটি একটি ঔষধি বা ভেষজ ফল। আমলকি এর বহুবিধ গুণাবলি রয়েছে।
নিচে আমলকির ৩০ টি উপকারিতা সম্পর্কে দেওয়া হলোঃ
০১। আমলকি ত্বক, চুল ও দাঁত ভালো রাখে।
০২। হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক
০৩। খাওয়ার রুচি বাড়ায়।
০৪। কয়েক প্রকার ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
০৫। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
০৬। ওজন কমায় এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
০৭। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি উপকারী।
০৮। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
০৯। আমলকির উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এটি হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
১০। অগ্ন্যাশয়ের ক্ষত সারাতে আমলকী কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১১। আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানষিক চাপ কমায়।
১২। চুলপড়া বন্ধ করতে আমলকি অনেক উপকারী।
১৩। অনিদ্রা, সর্দি-কাশি, বমি ও ব্যথা-বেদনা, ইত্যাদি থেকে দুরে রাখে।
১৪। শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
১৫। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমলকী অনেক ভালো কাজ করে।
১৬। আমলকির রস চোখ ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১৭। পেটের সমস্যা ও বদহজমের বিরুদ্ধে কাজ করে।
১৮। আমলকি ফুসফুস/হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
১৯। অম্ল,রক্তাল্পতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও মাথাব্যথা দুর করতে সাহায্য করে।
২০। চুলের খুশকি সমস্যা ও চুল পাকা কমাতে সাহায্য করে।
২১। পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে।
২২। ব্রণ দুর করতে আমলকির জুড়ি নেই।
২৩। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকির বিকল্প নেই।
২৪। লিভার ও জন্ডিস রোগে বিশেষ উপকারী ফল আমলকি।
২৫। চুলের খুশকি দুর করতে বিশেষ উপকারী।
২৬। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
২৭। ডায়রিয়া, আমাশয় হলে আমলকির রস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
২৮। হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী। কারণ- এটি হার্টের রোগীর ধরফরানি কমায়।
২৯। মধুর সাথে আমলকির রস মিশিয়ে খেলে পিত্ত সম্পর্কিত যেকোনো রোগ দূর হয়।
৩০। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এস্করবিক এসিড বা ভিটামিন ’সি’ রয়েছে, যা আমের চেয়ে ২৪ গুণ, কমলার চেয়ে ২০ গুণ এবং আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ ভিটামিন সি রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে আমলকির উপকারিতা বলে শেষ করার মতো নয়। প্রতিদিন এক থেকে দুইটি আমলকি খেতে পারলে আনেকগুলো রোগ-বালাই থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। আমাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় বিভিন্ন ভিটামিন অথবা মিনারেল জাতিয় ঔষধ খেতে। এসব প্রায় প্রত্যেকটি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে হলে ভিটামিন বা মিনারেল জাতিয় ঔষধ খাওয়া বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উঁচিৎ।
আরো পড়ুন:
- বিসিএস মডেল টেস্ট: অনলাইন এক্সাম
- বিসিএস প্রিলি সূচিপত্র (সকল বিষয়, সকল অধ্যায়)
- ফেসবুকে নিরাপদ থাকতে হলে যা আপনাকে জানতেই হবে
ফেসবুকে আমরা: AmarStudy.com Official FaceBooK Page