Alamin Islam

তথ্য অধিকার আইন কতটুকু সফল?

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাশ হয়। উদ্দেশ্য জনগণের মৌলিক অধিকার তথা তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমি জেলা পর্যায়ের একটি অফিস থেকে কিছু তথ্য পাওয়ার জন্য কয়েকবার তথ্য অধিকারের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। কয়েকদিন চেষ্টা করার পরেও তথ্য অধিকার ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল ইররের জন্য অনলাইন আবেদন করতে না পেরে সংশিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে উক্ত অফিসের কর্মকর্তার ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করে মেইল করি। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি সেই ইমেইলের প্রতিউত্তর আমি পাইনি। তাই সেই ইমেইলটি খোলাচিঠি আকারে আমার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলাম।


বিষয়ঃ কফি চাষ বিষয়ক সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য আবেদন।

জনাব,

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

আমি আলামীন ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং কিছু অনলাইন জার্নাল থেকে জানতে পারলাম উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে পঞ্চগড়, নীলফামারী এবং দিনাজপুর জেলার আবহাওয়া ও মাটির গুণগত মান বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষের জন্য সম্ভাবনাময়।

আমার জেলায় (পঞ্চগড়) এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত অথবা বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা? যদি ইতোমধ্যে কফি চাষ শুরু হয়ে থাকে, তবে এটার সাফল্যের হার কেমন? আর যদি এখনো চাষ শুরু না হয় তবে সরকারি অর্থায়নে পরীক্ষামূলক ভাবে কফি চাষ করানোর কোনো সুযোগ আছে কিনা??

আপনি নিশ্চই অবগত আছেন যে, পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতে ”সবুজ চা” চাষের মাধ্যমে গত এক দশকে এখানকার মানুষের ভাগ্যের ব্যপক পরিবর্তন ঘটেছে। কফি চাষ যদি এই এলাকায় সম্ভব হয়, তবে তা এখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা রাখি।

মোঃ আলামীন ইসলাম।
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।


আমার খোলা চিঠির বাইরে কিছু কথা না বললেই নয়। একদিন হঠাৎ করেই প্রথম আলোর এক নিউজের শিরোনামে চোখ আটকে গেলো। তথ্য চেয়ে আবেদন করার কারণে এক যুবক হামলার শিকার হয়েছেন। আজকে আবার সমকালের আরেকটি নিউজ চোখে পড়লঃ তথ্য চেয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক

একজন সাংবাদিক যদি তথ্য চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হন, তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কি হতে পারে ?? আজকে এই লেখাটি লেখার সময় পর্যন্ত বাংলাদের সরকারের তথ্য প্রাপ্তির ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২৬৯১৭ আবেদনের বিপরীতে মাত্র ১২১ টি আবেদনের জবাব দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রাপ্তির ওয়েবসাইট থেকে একটি স্ক্রিনশট নিচে যুক্ত করলাম। আপনি চাইলে নিজেও এই লিংক থেকে তথ্য প্রাপ্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দেখতে পারেনঃ http://rtitracking.infocom.gov.bd/index

এই যদি হয় তথ্য প্রাপ্তির অবস্থা তাহলে এই আইনটির দরকারই বা কি ছিলো? আমি বিশ্বাস করি তথ্য জনগণের মৌলিক অধিকার এবং এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া সুশাসন প্রত্যাশা করা সমীচীন হবেনা। তাই যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করুন।

উল্লেখ্য, উপরের কয়েকটি ঘটনা মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা এই আইনের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা নিরূপণ করতে পারিনা। তবে তথ্য অধিকার ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত ডেটা সত্যিই হতাশাজনক, যা এই আইনের ব্যর্থতার স্বরূপ প্রকাশ করে!! আজকে তথ্য অধিকার নিয়ে সার্চ করার সময় তথ্য প্রাপ্তির একটি ম্যনূয়াল ফর্ম পেলাম।

কিন্তু ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল সরকারের তথ্য প্রাপ্তির ওয়েবসাইট থাকতে পেপার ফর্মে তথ্য আবেদনের যোক্তিকতা কতটুকু ??? ম্যনূয়াল পেপার ফর্ম কি তাদের ডিজিটালাইজেশনের ব্যর্থতা প্রকাশ করে ????

আরো পড়ুন:

Exit mobile version