Site icon Alamin Islam

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস | উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের শেষ পর্যায়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বিশ্ব বাস্তবতায় যখন সারা বিশ্ব থেকে ব্রিটিশরা পাততাড়ি গুটিয়ে নিজ মাতৃভূমির দিকে গমন করার চিন্তা ভাবনা করতে থাকে ঠিক সেই মুহূর্তে ১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়। ভারতের পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইচ্ছা ঘোষণা করে। এ অবস্থায় বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্বাধীন অখণ্ড বাংলার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন শরৎচন্দ্র বসু। প্রস্তাবটি উপমহাদেশের ইতিহাসে ‘বসু সোহরাওয়ার্দী’ প্রস্তাব নামে খ্যাত। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতি-প্রশ্নটি উঠে আসার সুযোগ সৃষ্টি হলেও বস্তুত একই অবস্থার কারণে তা অখণ্ড ভারতীয় জাতীয়তাবাদ বনাম ধর্মভিত্তিক দ্বিজাতিতত্ত্বের বিকৃত রূপ পরিগ্রহ করে।

স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস :

ফলে জাতি-সমস্যার সমাধানের প্রশ্নটি ঐতিহাসিক বিভ্রান্তির শিকার হয় এবং অমীমাংসিত থেকে যায়। এমনি এক ঐতিহাসিক ধারায় দেশবিভাগের প্রাক্কালে অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ২৭ এপ্রিল (১৯৪৭) দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে “স্বাধীন, সার্বভৌম, অখণ্ড বাংলা” প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।

এখনো amarStudy অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড না করে থাকলে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে এখানে যানঃ Download Now. অ্যাপটি বিসিএস’সহ প্রায় সব রকমের চাকুরির প্রস্তুতির সহায়ক।

প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সেক্রেটারি আবুল হাশিম, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শরৎচন্দ্র বসু এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা কিরণ শংকর রায় প্রমুখ নেতৃত্ব অখণ্ড স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র গঠন আন্দোলনে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং এক্ষেত্রে তাঁরা সক্রিয় ভূমিকাও রাখেন। কিন্তু তাদের এ প্রয়াস সফল হয়নি। এ প্রচেষ্টা সফল হলে ১৯৪৭ সালেই ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি অখণ্ড বাংলা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতো।

আরো পড়ুুন:

Exit mobile version