বর্তমান বিশ্বে কোন রাষ্ট্রই অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বজায় না রেখে চলতে পারে না। এক্ষেত্রে কোন দেশ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য অন্য দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির মধ্য দিয়ে। পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ভূরাজনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। এক্ষেত্রে যেকোন দেশের ভৌগোলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যেকোন দেশ লাভ বা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
ভূরাজনীতির সংজ্ঞা : Geo-Politics শব্দটি জার্মান শব্দ Geopolitik এর ইংরেজি রূপ। যেটি গ্রিক শব্দ ‘Geo’ ও ‘Politiko’ শব্দ দুটি থেকে এসেছে। যার অর্থ ভৌগোলিক বিষয়াবলির ভিত্তিতে যে রাজনীতি। নিম্নে ভূরাজনীতির সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদদের আলোকে প্রদান করা হলো :
NJ. Sypkeman এর মতে, “ভৌগোলিক বাস্তবতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতিই হলো ভূরাজনীতি।”
কর্নেল ফিফার বলেন, “কোন দেশের বিদেশ নীতি নির্ধারণে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কৌশলগত এবং ভৌগোলিক উপাদানের প্রয়োজনই ভূরাজনীতি।”
অধ্যাপক আব্দুল হালিম বলেন, “ভূরাজনীতি হচ্ছে ভূগোল অধ্যয়নের সে অংশ যা পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনৈতিক প্রপঞ্চসমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।”
আধুনিক ভূরাজনীতির প্রবক্তা Kyellen এর মতে, Geopolitics is the theory of the state as a geographic organism of phenomenon is space of land territory area.”
সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, রাজনৈতিক কার্যকলাপ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক বিশ্লেষণই হলো ভূরাজনীতি।